মহান মে দিবস: 'ভালো নেই সাংবাদিক সমাজ'

মহান মে দিবস: 'ভালো নেই সাংবাদিক সমাজ'

শনিবার ঐতিহাসিক মে দিবস। সারা বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। করোনাভাইরাসের ভয়াল সুনামীর মুখে বর্তমান সময়ে মে দিবস উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা কমে এলেও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের চেতনা নিয়ত প্রবাহিত হচ্ছে শ্রমিক-সাংবাদিকের রক্ত ঘামে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠার রক্তরাঙা এই দিনেও অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করা হচ্ছে- সংবাদমাধ্যমে ঘটে চলেছে একের পর এক সাংবাদিক স্বার্থবিরোধী যজ্ঞ। চলছে বেপরোয়া ছাঁটাই, বেতনভাতা কমিয়ে দেওয়া কিংবা সময়মত বেতন পরিশোধে ইচ্ছাকৃত অনীহা। যার কারণে, করোনার আগ্রাসী সুনামীর মুখে জীবনহানির সমুহ ঝুঁকির মধ্যে দায়িত্ব পালন করে যাওয়া সাংবাদিকদের জীবন আজ হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধ করার আহবান জানিয়ে বলেন, ইতিমধ্যে ৬০ জন পেশাদার সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছেন। অনেক সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত। প্রচন্ড স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে জরুরি পেশা হিসেবে সাংবাদিকরা কাজ করে গেলেও বহু প্রতিষ্ঠান সাংবাদিক-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন ভাতাদি পরিশোধে টালবাহানা করছে। প্রথম কাতারের দাবিদার একাধিক সংবাদপত্র ও টিভি মিডিয়া ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসের বেতন বকেয়া রেখেছে। এমনকি, বহু প্রতিষ্ঠানে ৫/৬ মাস বা তার চেয়েও বেশি বকেয়াও আটকে রেখেছে। শ্রম আইনে যা অন্যায়, অমানবিক ও অপরাধের শামিল। উপরন্তু, নানা অজুহাত দেখিয়ে করোনা কালে সাংবাদিক ছাঁটাই করা হচ্ছে। শিল্পে তৈরি করা হয়েছে এক ধরণের অস্থিরতা।

বিবৃতিতে ডিইউজে নেতারা ঈদের আগে চলতি সপ্তাহের মধ্যে বেতনসহ পরিপূর্ণ বোনাস প্রদানের দাবি জানিয়ে বলেন, তা না হলে এই শিল্পের যে কোনও ধরনের অস্থিরতার দায়-দায়িত্ব সংবাদমাধ্যমের মালিকদের বহন করতে হবে। প্রয়োজনে এবারও ঈদের দিনে "অবস্থান ধর্মঘট" করে গোটা বিশ্ববাসীর কাছে জানিয়ে দিতে হবে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের মালিকেরা কতটা হিংস্র ও বেহায়া।

মহান মে দিবস শনিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় ডিইউজে কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস