‘রাখাইনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কাজ করতে দেওয়া উচিত’
রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ তৈরিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে রাখাইনে কাজ করতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমারের উচিত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে রাখাইনে কাজ করতে দেওয়া।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) গণভবনে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নোয়েলিন হেজার সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মিয়ানমারকে এটা বলেছি এবং এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু কোনো সাড়া আসেনি। আমরা এর সমাধান চাই। আমরা আর কতদিন এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে আশ্রয় দেব।
শেখ হাসিনা বলেন, কিছু রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে সামাজিক অপরাধ, মানব পাচার, মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। তারা এ অঞ্চলের পরিবেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালে এ চুক্তি সইয়ের পর প্রায় ৬২ হাজার উদ্বাস্তুকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত বলেন, তিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। মিয়ানমারে তাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের সব সংস্থা ও এনজিওগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করছে।
নোয়েলিন হেজার বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু মোকাবিলায় বাংলাদেশের ব্যাপক সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
মিয়ানমার সফরের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত বলেন, তিনি মিয়ানমার সফর করেছেন এবং সেখানকার সামরিক শাসকদের রোহিঙ্গা সংকটের একটা সমাধান খুঁজে বের করার কথা বলেছেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।