রোজা করোনা ঝুঁকি বাড়ায় না : ডব্লিউএইচও

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রোজা রাখলে করোনার ঝুঁকি বাড়ে না। এর মাধ্যমে কেউ করোনার বিস্তার ঘটায় না। সুস্থ মানুষের জন্য রোজা রাখা নিরাপদ। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে সম্প্রতি জারি করা এক নির্দেশিকায় এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। এএফপি।

রোজা করোনা ঝুঁকি বাড়ায় না : ডব্লিউএইচও

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, রোজা রাখলে করোনার ঝুঁকি বাড়ে না। এর মাধ্যমে কেউ করোনার বিস্তার ঘটায় না। সুস্থ মানুষের জন্য রোজা রাখা নিরাপদ। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে সম্প্রতি জারি করা এক নির্দেশিকায় এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। এএফপি।

বিবৃতির একটি অংশে জানানো হয়েছে, রোজা রাখার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায় এমন কোনো প্রমাণ ডব্লিউএইচওয়ের কাছে নেই। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রিয় বন্ধু এবং সহকর্মীরা! এ বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় দেড় বিলিয়ন মুসলমান পবিত্র রমজান মাসকে স্বাগত জানাবে। এক বছর আগে, মহামারির প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা নতুন এক রমজানের অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা নিজেদের এবং প্রিয়জনদের সুরক্ষার উপায় খুঁজে পেয়েছি।’

‘দুঃখের বিষয় যে, চলতি বছর করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। আমরা করোনায় অনেক মানুষকে হারিয়েছি। আরও অনেকে সংক্রামিত হচ্ছে। করোনা মহামারি এখন একটি বাস্তব হুমকি। তাই, এই রমজানে আমাদের আরও সচেতন থাকা জরুরি।’

‘আসুন আমরা সকলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি করি, যাতে আমরা আমাদের সামনের আরও অনেক আনন্দময় অনুষ্ঠান এবং পরের বছর রমজান এক সঙ্গে উদযাপন করতে পারি। এই দায়িত্ব সরকার ও ব্যক্তি সকলের উপর সমানভাবে আসে।’

বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও আরও বলে, ‘রোজা রাখার ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায় এমন কোনো প্রমাণ নেই। তবে যারা দীর্ঘ সময় ধরে করোনায় ভুগছেন তারাও রোজা রাখতে পারবেন। রোজা রাখা অবস্থায় তাদের উপসর্গ যদি গুরুতর আকার ধারণ করে, তাহলে তারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী রোজা ভাঙতে পারেন।’

স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকায় বলা হয়, ‘ডব্লিউএইচও সব সময় খোলামেলা পরিবেশকে উত্সাহ করে। যেখানে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল করতে পারে। একই সঙ্গে জনাকীর্ণ এবং বায়ুচলাচল করতে পারে না এমন স্থান থেকে সর্তক থাকা ভালো। কারণ এখানে ভাইরাসে সংক্রামিত ব্যক্তিরা সহজেই অন্যদের কাছে ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিতে পারে।

প্রকৌশল নিউজ/এমএস