লিটারে ১০ টাকা বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম

পবিত্র রমজান মাসের আগে দ্বিতীয় দফায় সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে আরও ১০ টাকা বাড়িয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এর আগে জানুয়ারি মাসে একবার সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়েছিল সংস্থাটি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ১ লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা দরে বিক্রি করবে টিসিবি।

লিটারে ১০ টাকা বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম

পবিত্র রমজান মাসের আগে দ্বিতীয় দফায় সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে আরও ১০ টাকা বাড়িয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এর আগে জানুয়ারি মাসে একবার সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়েছিল সংস্থাটি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে ১ লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকা দরে বিক্রি করবে টিসিবি।

কেবল সয়াবিন নয়, চিনির দামও কেজি প্রতি ৫ টাকা বাড়িয়েছে টিসিবি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতি কেজি চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি হবে ৫৫ টাকায়। আর পেঁয়াজ বিক্রি হবে ২০ টাকা দরে।

এছাড়া রমজানকে সামনে রেখে নতুন করে ছোলা ও খেজুর বিক্রি করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিসিবি। সংস্থাটি প্রতি কেজি ছোলা ৫৫ টাকা এবং খেজুর ৮০ টাকা দরে বিক্রি করবে।

বুধবার টিসিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রমজান মাসে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সারা দেশে তাদের বিক্রয় কার্যক্রম চলবে। অবশ্য টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়ে সীমিত আয়ের মানুষ পণ্য কেনেন। টিসিবি দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় তাদের খরচ হঠাৎ করেই অনেকটা বেড়ে গেল।

দাম কেন বাড়ানোর বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র মো. হুমায়ূন কবির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বাজারে পণ্যের দাম বেশি থাকায় টিসিবি মূল্য সমন্বয় করেছে। নইলে টিসিবির পণ্য নিয়ে অসাধু কাজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

টিসিবি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে তাদের বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হবে। ক্রেতারা একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি, ৩ কেজি ছোলা, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ লিটার তেল কিনতে পারবেন। এছাড়া টিসিবির অনলাইন কার্যক্রমে শুধু পেঁয়াজ কেনা যাবে।

সারা দেশে ৫০০ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে ১০০টি ঢাকায় ও ২০টি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় থাকবে। এ ছাড়া দেশের সব জেলা ও উপজেলা সদরে পরিবেশকদের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে।

পবিত্র রমজান মাসে প্রতি ট্রাকে ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ কেজি চিনি, ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার লিটার সয়াবিন তেল, ৩০০ থেকে ১ হাজার কেজি পেঁয়াজ, ৬০০ থেকে ৭৫০ কেজি মসুর ডাল, ৪০০ থেকে ১ হাজার কেজি ছোলা ও ১০০ কেজি খেজুর বরাদ্দ দেবে টিসিবি।