শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনার মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকাতে সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি নিজেদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনার মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকাতে সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি নিজেদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সংসদে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তিনি একথা জানান।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সবাইকে টিকা কার্যক্রমের আওতায় এনে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম চালুর কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি মাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত (৩০ আগস্ট) এক কোটি ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ১৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ১৬৯ জনকে দ্বিতীয় ডোজসহ দুই কোটি ৬১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৭ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। মজুদ রয়েছে এক কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ ডোজ। টিকা সংগ্রহ করা এবং সবাইকে বিনামূল্যে টিকা প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিমাসে যাতে এক কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিনোফার্মের শিডিউল অনুযায়ী অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে দুই কোটি করে ডিসেম্বরের মধ্যে ছয় কোটি টিকা পাওয়া যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা বিশ্বের উন্নত অনেক দেশও নিতে পারেনি।' করোনার প্রকোপ কমলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান সরকার প্রধান। পাশাপাশি গণজমায়েত না করা, মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলায় জোর দেন তিনি।
তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমেছে। কিন্তু কমলেও সবাইকে সাবধানে থাকা উচিত। হয়তো লকডাউন তুলে নিয়েছি। কিন্ত স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ করব। খুব তাড়াতাড়ি স্কুল কলেজ খুলে দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি। সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের টিকা দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের সাথে সাথে স্কুলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পরিবারের সবাইকে যেন টিকা দেওয়া হয়। আমরা বিভিন্ন সংস্থা বা স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে সবাইকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি।
প্রকৌশলনিউজ/সু