শুধু পোশাক খাতের ওপর নির্ভর করলে চলবে না : বাণিজ্যমন্ত্রী
শুধু তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, ‘দেশের রফতানি পণ্য সংখ্যা ও বাজার সম্প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই। তাই দেশের সম্ভাবনাময় ১৯টি রফতানি পণ্যকে টার্গেট করে কাজ করছে সরকার।’
শুধু তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, ‘দেশের রফতানি পণ্য সংখ্যা ও বাজার সম্প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই। তাই দেশের সম্ভাবনাময় ১৯টি রফতানি পণ্যকে টার্গেট করে কাজ করছে সরকার।’
শনিবার (৮ মে) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আইসিএবি আয়োজিত ‘ডাইভারসিফিকেশন অব বাংলাদেশ এক্সপোর্ট বাসকেট : অপারচ্যুনিটিস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ইসিফোরজে নামে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে লেদার গুডস, প্লাস্টিক, ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চারটি রফতানি পণ্যের সেক্টরকে যোগ্য করে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি বরাদ্দ পাওয়া গেছে, নির্মাণপ্রক্রিয়া চলছে। দেশের শিক্ষিত যুবসমাজকে প্রশিক্ষণ, হাতে-কলমে শিক্ষা, ডিজাইনে বৈচিত্র্য আনা এবং পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে কাজ করা হবে।
টিপু মুনশি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে এগিয়ে যেতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। একটি পণ্যের কাঁচামাল থেকে শুরু করে প্যাকেটিং পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রয়োজন। দেশের রফতানি দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, কোভিড-১৯ এর কারণে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এর মাঝেও রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো চলছে, রফতানিও থেমে নেই। কোভিড-১৯ পরবর্তীতে বাংলাদেশ আবার রফতানি বৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য সরকার কাজ করছে। বাণিজ্য সুবিধা আদায়ের জন্য পিটিএ বা এফটিএ’র মতো বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ভুটানের সঙ্গে পিটিএ স্বাক্ষর করা হয়েছে, আরও বেশ কিছু দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য আলোচনা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে, কয়েকটির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এখানে দেশি-বিদেশি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছে। ফলে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ স্থান হয়েছে।
ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সাবেক প্রেসিডেন্ট আজিজ এইচ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিএবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বসু।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বিসিকের চেয়ারম্যান মোস্তাক হোসেন, বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং শিপ বিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ হ্যান্ডিক্রাপ্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট গোলাম আহসান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফ্টওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর, বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মারুফ হোসেন, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সঈদ মো. সোহরাব হাসান এবং আইসিএবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিয়া হাওলাদার।
প্রকৌশল নিউজ/সু