সারাদেশে ১১টি অভিযোগের বিষয়ে দুদকের অভিযান
গাইবান্ধা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে রাজস্ব বাজেটের ভ্রমণ ভাতা ও চিকিৎসা ভাতার অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আসা অভিযোগের প্রেক্ষিতে রংপুর জেলার সংস্থাটির সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত চালানো হয়।
গাইবান্ধা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে রাজস্ব বাজেটের ভ্রমণ ভাতা ও চিকিৎসা ভাতার অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আসা অভিযোগের প্রেক্ষিতে রংপুর জেলার সংস্থাটির সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ এর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত চালানো হয়।
দুদকের টিম সরেজমিনে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা ও অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। সেখানে দুদক টিম ভ্রমণ ভাতা ও চিকিৎসা ভাতার অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি যাচাই করেন। সেই সাথে বিভিন্ন সরকারি জায়গার ইজারা, ব্যয় ও খরচের বিল ভাউচারে অসংগতি রয়েছে বলে দুদকের কাছে মনে হয়েছে।
এছাড়া, অভিযোগের সত্যতা উদঘাটনের জন্য এনফোর্সমেন্ট টিম জেলা পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলেন। জেলা পরিষদের দেওয়া সরকারি বরাদ্দের অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করা হয়েছে কিনা এবং কোন খাতে কি পরিমান অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তা পর্যালোচনা করেন। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জেলা পরিষদের অনিয়ম রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
জেলা পরিষদ হতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক বিস্তারিত পর্যালোচনা করে সে বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের অনুমতি চেয়ে কমিশন বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক টিম।
এছাড়া, সিলেট জেলার কানাইঘাট পৌরসভার মেয়র, সহকারী প্রকৌশলীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
দুদক এ অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে(পশ্চিমাঞ্চল) এর জিএম, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার, আমার বাড়ি, আমার খামার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ সকলকে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে চিঠি দেওয়া হয়।