স্বাধীন গণমাধ্যম আছে বলেই বিএনপি টিকে আছে : কাদের

‘গণমাধ্যম সরকার নিজের মতো করে নিয়েছে’, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি এখনও স্বাধীন গণমাধ্যম আছে বলেই টিকে আছে।

স্বাধীন গণমাধ্যম আছে বলেই বিএনপি টিকে আছে : কাদের
ফাইল ছবি

‘গণমাধ্যম সরকার নিজের মতো করে নিয়েছে’, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আন্দোলন ও নির্বাচনে বিএনপি ব্যর্থ, স্বাধীন গণমাধ্যম আছে বলেই টিকে আছে এখনও।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গণমাধ্যমের ওপর সরকারের যদি নিয়ন্ত্রণই থাকবে, তাহলে প্রতিদিন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার আর মিথ্যাচার করে কিভাবে?

মঙ্গলবার (৪ মে) তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় সরকারের সবকিছুতে দোষ-ত্রুটি খুঁজে বের করা বিএনপির মজ্জাগত স্বভাবে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারের কোনও উদ্যোগ বিএনপির চোখে পড়ে না। করোনার এই সংকটকালে জনগণের জীবন ও জীবিকার মাঝে ভারসাম্য তৈরিতে সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা না করে তারা তোতা পাখির মতো শেখানো বুলি অবিরাম আওড়ে যাচ্ছে।’

গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলা বিএনপির মুখে শোভা পায় না দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকতে তারা ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের কলঙ্কিত অধ্যায়ও এ দেশে সৃষ্টি করেছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা পূর্ণিমার আলো ঝলঝল রাতেও অমাবস্যার অন্ধকার দেখতে পায়।’

নির্বাচন ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করার রেকর্ডে বিএনপি চ্যাম্পিয়ন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা এক কোটি সোয়া লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে আজিজ মার্কা প্রহসনের নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েছিল, যার কারণে দেশে এক-এগারোর মতো অবস্থা তৈরি হয়েছিল।’ মাগুরা ও ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের সেই জালিয়াতির কথা দেশের মানুষ এখনও ভুলে যায়নি বলেও স্মরণ করিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, “বিএনপির আমলে সকাল ১০টার মধ্যেই ভোট প্রদান শেষ করে দেওয়া হয়েছিল। তখন চট্টগ্রামের একটি কেন্দ্রে ভোট গণনার আগেই চূড়ান্ত ফলাফল রেডিও, টিভিতে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তাই বিএনপির মুখে নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থার বুলি ‘ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনির মতো’।’’

অসহায়, কর্মহীন, খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সাড়ে ৩৬ লাখ পরিবারকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বা দলীয় নেতাকর্মীদের আত্মীয়-স্বজন দেখে নয়, বরং নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া পরিবারের তালিকা করে এবং যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে এসব সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।’ নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা এবার যেন কোনোভাবেই বেহাতে না যায়, সে ব্যাপারেও ইতোমধ্যে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।