৪০৯ জন অ্যানেস্থেসিয়া নিয়োগ যুগান্তকারী ঘটনা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

কোভিড মহামারির কথা বিবেচনা করে দেশে একই সাথে ৬ষ্ঠ গ্রেডে ৪০৯ জন অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক নিয়োগ প্রদান একটি যুগান্তকারী ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

৪০৯ জন অ্যানেস্থেসিয়া নিয়োগ যুগান্তকারী ঘটনা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

কোভিড মহামারির কথা বিবেচনা করে দেশে একই সাথে ৬ষ্ঠ গ্রেডে ৪০৯ জন অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক নিয়োগ প্রদান একটি যুগান্তকারী ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে 'জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিওলজি) পদে নব নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের যোগদান ও অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে' প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, কোভিড মহামারির কথা বিবেচনা করে একই সাথে ৬ষ্ঠ গ্রেডে ৪০৯ জন অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসক নিয়োগ প্রদান একটি যুগান্তকারী ঘটনা। কোভিডের অতিমারির কথা বিবেচনা করে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার হাসপাতালগুলোতে অ্যানেস্থেসিয়া চিকিৎসকের অতি বেশি প্রয়োজন দেখা দেয়। এই পদে পূর্বে অনুমোদিত ৬০৮টি পদের বিপরীতে মাত্র ৩০ জন চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন। গত ২০২০ সালে আমরা ১৬৯ জন চিকিৎসককে পদোন্নতি দিয়েছি। সে সময় উপযুক্ত প্রার্থী না থাকায় অবশিষ্ট ৪০৯টি পদে পদোন্নতি দেয়া সম্ভব হয়নি। গত ৭ জুলাই ৪০৯টি শুন্য পদে সরাসরি নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে অনুরোধ করা হলে গত ৫ সেপ্টেম্বর সেই নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বেশ কিছু নিয়মের ব্যতয় ঘটিয়ে হলেও এত অল্প সময়ে এই বিশাল সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্বাস্থ্যখাত কৃতজ্ঞ থাকবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে নবনিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সকল ভয়ভীতির উর্দ্ধে থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। নব নিয়োগপ্রাপ্তদের সকল সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে লক্ষ্য রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় চিকিৎসকদের দেশের সাধারণ মানুষের সেবায় কাজ করার অনুরোধ জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা তুলে ধরেন। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা, স্কুল-কলেজ খুলে দেবার পেছনে করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখার গুরুত্বের বিষয়টিও তুলে ধরেন মন্ত্রী।

দেশে বর্তমানে ভ্যাকসিনের কোন সংকট নেই। এ মাসের শুরুতে ৫৪ লাখ ভ্যাকসিন এসেছে এবং মাসের পরবর্তী সময়ের মধ্যেই আরো দেড় কোটি ভ্যাকসিন দেশে আসবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিয়ার সভাপতি ডা. দেবব্রত।

প্রকৌশলনিউজ/সু