‘খালেদাকে নিয়ে বানোয়াট ও আপত্তিকর তথ্য যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনে’
যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে দেওয়া বানোয়াট তথ্য আপত্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে দেওয়া বানোয়াট তথ্য আপত্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার প্রতিবেদনে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেটা যাচাই-বাছাই না করে দেওয়া হয়েছে। এই বানোয়াট তথ্য আপত্তিকর।
‘আগামী ডিসেম্বর থেকে দু’দিনব্যাপী শান্তি সম্মেলন বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ’
ড. মোমেন জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আনতে আমরা চেষ্টা করছি। জাপান থেকে টিকা আসার ব্যাপারে বাংলাদেশ আশাবাদী।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ উন্নয়ন দপ্তর প্রকাশিত ‘মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিবেদন ২০২০’ এর বাংলাদেশ অধ্যায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গে ‘গৃহবন্দি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে বাংলাদেশ।
রোববার ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেলকে তলবও করে সরকার। ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করে বলা হয়, প্রতিবেদনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গে ‘গৃহবন্দি’ শব্দটি ব্যবহার করা চরম বিভ্রান্তিকর।
খালেদা জিয়ার ভাইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির বিধান ১৮৯৮ অনুযায়ী তার কারাগারের সাজা স্থগিত করেছিল। ২০২০ সালের মার্চ মাসে তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সেই শর্ত অনুযায়ী তিনি বাড়িতে চিকিত্সা নেবেন ও বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। তার সাজা স্থগিত করে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির মেয়াদ দু’বার বাড়ানো হয়।