প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে। কৃষিপণ্য রপ্তানিকে আরো ত্বরান্বিত ও ফলপ্রসূ করতে রপ্তানিতে যেসকল বাধা ও সমস্যা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে। মান নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব দ্রুত চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে হবে। কৃষিপণ্য রপ্তানিকে আরো ত্বরান্বিত ও ফলপ্রসূ করতে রপ্তানিতে যেসকল বাধা ও সমস্যা রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে। মান নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব দ্রুত চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

কৃষিমন্ত্রী রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে ‘শাকসবজি ও ফল রপ্তানীকারকদের’ সাথে মতবিনিময় সভায়  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে সরকারের এখন লক্ষ্য হলো কৃষির প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণ করে কৃষিকে লাভজনক করা। এজন্য কৃষিপণ্যের রপ্তানী আরো বাড়াতে হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন ও উদ্যোক্তাদের আরো কিভাবে সহায়তা দেয়া যায়, সেটা আমরা চিন্তা করছি। উৎপাদিত কৃষিপণ্য দেশীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে কিভাবে যেতে পারে, সরকার এর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। সেজন্য, যারা রপ্তানীর সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং মান উন্নয়নে কাজ করছে তাদেরকে সর্বাত্নক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে কৃষির গুরুত্ব অনেক বেশি। কৃষি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। একই সাথে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামালেরও যোগান দিয়ে থাকে। এ কাঁচামাল যোগান দিয়ে আমরা যে প্রক্রিয়াজাত পণ্য পাচ্ছি সেটা বিদেশে রপ্তানিরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। এখনো আমাদের রপ্তানীটা বেশির ভাগ তৈরি পোশাকের মধ্যে সীমিত। প্রায় শতকরা ৮০-৮৪ ভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। তার সাথে সাথে কৃষি একটি সম্ভাবনাময় সেক্টর। আমরা যদি প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে পারি এবং নিরাপদ সবজি ও ফলের নিশ্চিয়তা দিতে পারি, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারেও কৃষিপণ্য রপ্তানী করতে পারবো।

সভায় বক্তাগণ কৃষিপণ্য রপ্তানিতে করণীয় বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন। সভায় কৃষিমন্ত্রী বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের মতামত ও অভিজ্ঞতার বিষয়টি শুনেন। তাদের সুপারিশমালা বিবেচেনায় নিয়ে মন্ত্রণালয় কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, এজন্য সংস্থাগুলোর মধ্যে দ্রুত আরেকটি সভা করার জন্য মন্ত্রী পরামর্শ দেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদারের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ইউসুফ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের পরিচালক মোহম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ এসিআই, প্রাণ-আরএফএল এবং সবজি ও ফল রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

প্রকৌশলনিউজ/এসআই