‘বাংলাদেশ ২.০’-এর জন্য সহায়তার প্রস্তাব আইএমএফ প্রধানের
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ওয়াশিংটন-ভিত্তিক ঋণদাতা বিষয়টি নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে ঢাকায় একটি দল পাঠিয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ওয়াশিংটন-ভিত্তিক ঋণদাতা বিষয়টি নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে ঢাকায় একটি দল পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ও বাংলাদেশ সময় বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশন (ইউএনজিএ)'র ফাঁকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে এক বৈঠকে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার এ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে বাংলাদেশের পূর্ববর্তী স্বৈরাশাসন উৎখাত করা ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থান সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং করেন। তখন ক্রিস্টালিনা তাকে বলেন, ‘এটি একটি ভিন্ন দেশ। এটি বাংলাদেশ ২.০’।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস নির্বাচন, বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন ও সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য তার অন্তর্র্বর্তী সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে সে সম্পর্কে কথা বলেন।
তিনি বলেন, কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।
সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমতে উপনীত এবং ভোটার তালিকা তৈরি হলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আইএমএফের প্রধান নির্বাহী এসব উদ্যোগে তার সমর্থন জানিয়ে বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশ সরকারের জন্য আর্থিক সহায়তা দ্রুততর করবে।
তিনি বলেন, তিনি বাংলাদেশে ‘দ্রুত’ একটি আইএমএফ দল পাঠিয়েছেন এবং এই মুহূর্তে সেটি ঢাকায় অবস্থান করছে। দলটি আগামী মাসে আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদের কাছে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জর্জিয়েভা বলেন, আইএমএফ বোর্ড টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ঋণদান কর্মসূচি শুরু করতে পারে, অথবা এটি গত বছরের শুরুর দিকে চালু হওয়া বিদ্যমান সহায়তা কর্মসূচির অধীনে আরও ঋণ দিতে পারে।
জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পরিবহন উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান আইএমএফ প্রধানকে বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মাত্র এক সপ্তাহ সময়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অপরাধের ‘দুর্গ’ গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
ড. দেবপ্রিয়া দেশের অর্থপ্রদানের ভারসাম্য বাড়াতে আইএমএফ-এর সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, বিনিময় হার স্থিতিশীল করতে আইএমএফের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে।