আমরা আধ্যাত্মিক-রুহানি আলেম দেখতে চাই : বেনজির

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসে হামলা করা হয়েছে। ন্যক্কারজনক এ ঘটনার ঘৃণা প্রকাশের ভাষা নেই। এসব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে মাদরাসাপড়ুয়া কোমলমতি ছাত্রদের, যা অত্যন্ত অমানবিক। আমরা আধ্যাত্মিক ও রুহানি আলেম দেখতে চাই বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

আমরা আধ্যাত্মিক-রুহানি আলেম দেখতে চাই : বেনজির

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসে হামলা করা হয়েছে। ন্যক্কারজনক এ ঘটনার ঘৃণা প্রকাশের ভাষা নেই। এসব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে মাদরাসাপড়ুয়া কোমলমতি ছাত্রদের, যা অত্যন্ত অমানবিক। আমরা আধ্যাত্মিক ও রুহানি আলেম দেখতে চাই বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইজিপি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১২টায় ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনা পরিদর্শন শুরু করেন পুলিশ প্রধান। প্রথমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর পৌরসভা কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের বঙ্গবন্ধুর ক্ষতিগ্রস্থ ম্যুরাল, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবসহ বেশ কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শন শেষ করে সার্কিট হাউজে বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন আইজিপি।

এসময় পুলিশ প্রধানের সঙ্গে র্যা ব মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের স্পেশাল শাখার প্রধান মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. আনোয়ার হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াদ উদ দৌলা খান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু ধ্বংস কেন? দেশ আমাদের সবার। দেশের সম্পদ ধ্বংস করে রাজনীতি করবেন কীভাবে? আগে হুজুররা রিকশায় চড়তে পারতেন না। এখন বড় হুজুরদের গাড়ি আছে। অনেকে হেলিকপ্টার হুজুর হিসেবেও পরিচিত।

আইজিপি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক ধরনের নৃসংশতা চালানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের সম্পত্তি। এখানে কেন হামলা করা হলো, সেটা আমার বোধগম্য নয়। ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এখানে দেড় থেকে দুশ বছরের পুরোনো রেকর্ড রয়েছে। ফলে ভূমি অফিসের আওতায় বসবাসকারীরা অন্তত ৫০ বছর দুর্ভোগে পড়বেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বেনজীর আহমেদ বলেন, আপনাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। রাষ্ট্র, আইন ও জনগণ আপনাদের পাশে আছে। আপনারা মামলা করুন, অবশ্যই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ-২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয়, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌরমিলনায়তন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, জেলা গণগ্রন্থাগার, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, টোলপ্লাজার পুলিশ ক্যাম্প ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।

প্রকৌশল নিউজ/প্রতিনিধি