কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিমিটার দিল রেড ক্রিসেন্ট

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি করোনা মহামারির শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস এর সহায়তায় ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কাছে ৭ টি এ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিমিটার হস্তান্তর করেছে।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিমিটার দিল রেড ক্রিসেন্ট

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি করোনা মহামারির শুরু থেকেই বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস এর সহায়তায় ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কাছে ৭ টি এ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিমিটার হস্তান্তর করেছে।

বাংলাদেশের সীমন্তবর্তী ৭ জেলায় ( সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহি, চাপাইনওয়াবগঞ্জ, নওগাঁ,  নোয়াখালি ও মাগুড়া) করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম এর অংশ হিসেবে এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসকে বেগবান করতে বৃহস্পতিবার সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এ্যাম্বুলেন্সগুলো  হস্তান্তর করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান জনাব নুর-উর-রহমান, মহাসচিব মোঃ ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন, উপ-মহাসচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার, আইএফআরসি এর ম্যানেজার-কোভিড-১৯ অপারেশনস আলি আকগুল ও সোসাইটির অন্যান্য কর্মকর্তারা।

সোসাইটির মহাসচিব বলেন, “বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দেশের যেকোন দুর্যোগে দ্রুত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন করে এটি তারই এক দৃষ্টান্ত। সীমান্তের জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমন বেড়ে যাওয়ায় করোনা রোগী পরিবহনে এই এ্যাম্বুলেন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, “দুর্যোগকালিন সংকট মোকাবেলায় এই এ্যাম্বুলেন্স বিশেষ ভূমিকা রাখবে।” এজন্য তিনি সোসাইটির পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস ও আইএফআরসি কে বিশেষ ধণ্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এ উপলক্ষ্যে সোসাইটির ডিজাস্টার রেসপন্স বিভাগের পরিচালক জনাব ইমাম জাফর শিকদার আরও বলেন যে এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানের পাশাপশি সোসাইটি ১০ জেলায় মাসব্যাপি (সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, রাজশাহি, চাপাইনওয়াবগঞ্জ, মাগুড়া, নাটোর, নওগাঁ, নোয়াখালি ও বাগেরহাট) রান্না করা খাবার বিতরন করবে। পাশাপাশি ৮ জেলার (রাজশাহি, চাপাইনওয়াবগঞ্জ, যশোর, নড়াইল, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, নওগাঁ ও নোয়াখালি) প্রায় ৩০০০ পরিবারকে দুর্যোগ মোকাবেলায় নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবে।