গণপরিবহন চলবে ৫ শর্তে
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে আট দিন শর্ত সাপেক্ষে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। এই সময়ে গণপরিবহণসহ সব যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। একইসঙ্গে ঈদ পরবর্তী ১৪ দিন গণপরিবহণসহ সব ধরনের যানবাহন বন্ধেরও নির্দেশনা দিয়েছে সরকারের সংস্থাটি।
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে আট দিন শর্ত সাপেক্ষে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। এই সময়ে গণপরিবহনসহ সব যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। একইসঙ্গে ঈদ পরবর্তী ১৪ দিন গণপরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন বন্ধেরও নির্দেশনা দিয়েছে সরকারের সংস্থাটি।
বুধবার বিআরটিএর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত পাঁচটি শর্তে সব ধরনের যানবাহন চলতে পারবে।
শর্তগুলো হলো:
১. বাস/ মিনিবাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলতে হবে। পাশাপাশি আসনে বসা যাবে না। গণপরিবহনে আসন বিন্যাস করতে হবে আড়াআড়িভাবে। অর্থাৎ, কোনো আসনে জানালার পাশে যাত্রী বসলে পেছনের আসনের যাত্রীকে করিডরের পাশের আসনে বসতে হবে।
২. অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলার কারণে যে আর্থিক ক্ষতি হবে, তা পুষিয়ে নিতে বিদ্যমান ভাড়ার অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের।
৩. গণপরিবহণের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর, চালকের সহকারী ও টিকিট বিক্রির দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। তাদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪. যাত্রার শুরু ও শেষে বাস-মিনিবাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। জীবাণুনাশক ছিটিয়ে এসব যান জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া যাত্রীদের হাতব্যাগ ও মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৫. গণপরিবহণে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করতে হবে। শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
এর বাইরে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া অন্যান্য শর্তও সবাইকে পালন করতে বলা হয়েছে বিআরটিএ'র বিজ্ঞপ্তিতে। এ ছাড়া এই ৫ শর্ত মেনে রাইডশেয়ারিং সেবার যানবাহনও চলতে পারবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস