জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে বিএনপি

জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিলের (জামুকা) বৈঠকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানীতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দালিলিক প্রমাণ থাকায় এমন আলোচনা হয়েছে। 

জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে  বিক্ষোভ করেছে বিএনপি

জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিলের (জামুকা) বৈঠকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাজধানীতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দালিলিক প্রমাণ থাকায় এমন আলোচনা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে ফের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি ও দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল মিছিলটির নেতৃত্ব দেন। দলীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিলটি আসলে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের প্ররোচণায় জামুকা জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি শেখ হাসিনার আদেশেই করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। খুব দ্রুতই এ সরকারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। 

বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি রফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, ছাত্রদলের সহসভাপতি আশরাফুল আলম লিঙ্কনসহ অনেকে।

এদিকে আজ গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্টজনের নামে নামকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমানসহ যে পাঁচজনের রাষ্ট্রীয় খেতাব জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা রাজনৈতিক কারণে নয়। দালিলিক প্রমাণ থাকায় এমন আলোচনা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত উপকমিটির পরবর্তী বৈঠকে বঙ্গবন্ধু হত্যায় কার কী ভূমিকা আছে, তা দালিলিক প্রমাণসহ প্রস্তাব করা হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।