দুই ভাইয়ের সাড়ে ৫ হাজার বিঘা জমি ও ৫৫ বাস ক্রোকের নির্দেশ
অর্থপাচার মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের ৫ হাজার ৭০৬ বিঘা জমি, ৫৫ গাড়ি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অর্থপাচার মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের ৫ হাজার ৭০৬ বিঘা জমি, ৫৫ গাড়ি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অর্থপাচার মামলায় সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ পাঁচজনের ৮৮টি ব্যাংক হিসাব আজ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১৮৮টি ব্যাংক হিসাবে থাকা প্রায় ১০ কোটি টাকা এবং তাদের মালিকানাধীন ৫৫টি বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রোক করারও আদেশও দিয়েছেন আদালত।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন।
রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর এক আইনজীবী খুন হন। সে হত্যা মামলার আসামি ছিলেন এ দুই ভাই।
এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১৮ জুন মিরাজ আল মাহমুদ এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এ দুই ভাই অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
প্রকৌশল নিউজ/এস