দেশে গ্রীষ্মকালীন সবজির চাহিদা মেটাতে চায় এসিআই ক্রপ কেয়ার
আমাদের দেশের গ্রীষ্মকালীন শাক সবজির চাহিদা ১২৪ লাখ মেট্রিক টন কিন্তু উৎপাদন হয় মাত্র ৫৫.২০ লাখ মেট্রিক টন যা মোট উৎপাদনের মাত্র ৩০%, যার ফলে গ্রীষ্মকালে সবজির দাম অতিরিক্ত বেড়ে যায়। গ্রীষ্মকালীন শাক সবজি উৎপাদনে রয়েছে অতি বৃষ্টি, অতি খরা কিংবা রোগব্যাধির মতো নানা চ্যালেঞ্জ। ফলে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক । বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে চাষীদের মধ্যে কম উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যা দেশের শীতকালীন শাক সবজি চাষের ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটে না। ফলে গ্রীষ্মকালীন শাক সবজির উৎপাদন ব্যাপক আকারে কমে যায় এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করতে এগিয়ে এসেছে এসিআই ক্রপ কেয়ার।
আমাদের দেশের গ্রীষ্মকালীন শাক সবজির চাহিদা ১২৪ লাখ মেট্রিক টন কিন্তু উৎপাদন হয় মাত্র ৫৫.২০ লাখ মেট্রিক টন যা মোট উৎপাদনের মাত্র ৩০%, যার ফলে গ্রীষ্মকালে সবজির দাম অতিরিক্ত বেড়ে যায়। গ্রীষ্মকালীন শাক সবজি উৎপাদনে রয়েছে অতি বৃষ্টি, অতি খরা কিংবা রোগব্যাধির মতো নানা চ্যালেঞ্জ। ফলে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে চাষীদের মধ্যে কম উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যা দেশের শীতকালীন শাক সবজি চাষের ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটে না। ফলে গ্রীষ্মকালীন শাক সবজির উৎপাদন ব্যাপক আকারে কমে যায় এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করতে এগিয়ে এসেছে এসিআই ক্রপ কেয়ার।
এসব সমস্যা সমাধানের কথা বিবেচনা করে এসিআই ক্রপ কেয়ার এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ভার্চুয়াল ওয়েবিনার ‘scope & Challenges of summer vegetable production’ সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো সাথে সমন্বয় সাধন করে কাজের মাধ্যমে দেশের গ্রীষ্মকালীন সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চায় এসিআই ক্রপ কেয়ার।
ওয়েবিনারে উপস্থিত এসিআই-ক্রপ কেয়ার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুস্মিতা আনিস বলেন দেশের জিডিপির ১৩% এর অধিক আসে কৃষি থেকে। দেহের ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি পূরনে প্রতিজন লোকের ৩০০ গ্রাম সবজি প্রতিদিন খাওয়া প্রয়োজন কিন্তু সেই জায়গায় আমরা পাচ্ছি ১৬৬ গ্রাম। তিনি আরো বলেন এসিআই এর মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষকের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করা এবং কৃষকের ফসলের ক্ষতি কমিয়ে আনা।
প্রফেসর ড. এম মোফাজ্জল হোসেন (সাবেক প্রধান, হর্টিকালচার বিভাগ বশেমুরকৃবি) বলেন, কীভাবে আমরা গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি উৎপাদনের সুযোগ এবং হুমকিগুলোকে মোকাবিলা করতে পারি সে বিষয় গুলি চিহ্নিত করে আমাদের এগিয়ে যেতে হাবে। মোঃ মিজানুর রহমান (সাবেক পরিচালক, হর্টিকালচার উইং কৃষি সম্প্রসারণ) বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে পরিকল্পনা মাফিক তাদের গ্রীষ্মকালীন সবজি উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং প্রত্যাশা করেন অতি দ্রুতই সবজি উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ন হবে।
ড. দেবাশিস সরকার (পরিচালক, ডাল গবেষণা ইন্সটিটিউট, বারি) গ্রীষ্মকালীন সবজির প্রধান প্রধান রোগব্যাধি নিয়ে আলোচনা করেন, এর পাশাপাশি তিনি স্বল্পমুল্যে এগুলো কীভাবে দমন করা যাবে সেগুলো নিয়েও আলোচনা করেন। মি: ভেনুগোপাল (নির্বাহী পরিচালক) এসিআই ক্রপ কেয়ার বলেন, দেশের সবজি উৎপাদনের সার্বিক সমাধান নিয়ে কাজ করছে এসিআই ক্রপস কেয়ার। দেশের গবেষণা ধর্মী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাথে নিয়ে তারা আগামীর প্রোডাক্ট লাইন তৈরি করবে এবং প্রোডাক্টগুলোই দেশের কৃষির উন্নয়ননে অগ্রণী ভুমিকা রাখবে যোগ করেন ভেনুগোপাল।
এসিআই ক্রপ কেয়ার-এর ম্যানেজার (নিউ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) কৃষিবিদ আবুল হাসান মোস্তফা কামাল-এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসিআই ক্রপ কেয়ার-এর জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) জনাব মোঃ আবদুর রহমান, এসিআই ক্রপ কেয়ার-এর হেড অফ রিসার্চ এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট মি: সুবির চৌধুরী, প্রোডাক্ট ম্যানেজার মোঃ মোশারফ হোসেন ও জনাব জামিল আহমেদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (ফ্লোরা) জনাব আবু বকর সিদ্দিক, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কৃষিবিদ সোনিয়া রশীদ প্রমুখ। এ ছাড়াও এসিআই ক্রপ কেয়ার এর হেড অফিস ও মাঠ পর্যায়ের ১৫০ জন কর্মী ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেছেন উক্ত ওয়েব সেমিনারে। এই সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি এসিআই ক্রপ কেয়ার এর ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় সেখানেও বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন ।
প্রকৌশল নিউজ/বাকৃবি প্রতিনিধি/এমআরএস