প্রকল্পের কেনাকাটায় ব্যক্তিগত দুর্নীতি বেশি: পরিকল্পনামন্ত্রী
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি কর্মকর্তার নানা দূর্নীতির কথা উঠে আসছে গণমাধ্যমে। সেই সংবাদগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করেও অধিকাংশ জায়গায় দুর্নীতির প্রমাণ পাচ্ছে। এবার একধাপ এগিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বললেন, প্রকল্পের কেনাকাটায় ব্যক্তিগত দুর্নীতি বেশি হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি কর্মকর্তার নানা দূর্নীতির কথা উঠে আসছে গণমাধ্যমে। সেই সংবাদগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করেও অধিকাংশ জায়গায় দুর্নীতির প্রমাণ পাচ্ছে। এবার একধাপ এগিয়ে গিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ মান্নান বলেন, প্রকল্পের কেনাকাটায় ব্যক্তিগত দুর্নীতি বেশি হয়।
শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনের খসড়া রূপরেখা চূড়ান্তকরণ’ কর্মশালায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার যে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের জনগণের যে স্বচ্ছ ধারণা এটাকে কেউ প্রশ্রয় দেবে না । আমি বিশ্বাস করি আমাদের চারপাশে সবাই দুর্নীতি এড়িয়ে চলেন। কেউ ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতি করে প্রমাণিত হলে আমরা আইনিভাবে মোকাবিলা করবো। দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়বো। ’
দুর্নীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, একটা বিষয় বলতে চাই না তবুও বলতে হয়। যেখানে যায় সাধারণ মানুষ প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চায়। পকেট মার ও দুর্নীতি একটি ক্রিমিনাল বিষয়। এটা নিয়ে ডিসকাস করা সেমিনার করার কোনো মানে হয় না। আমি যে টকশোতে যাই, যে সেমিনারে যাই- সেখানে ঘুরে ফিরে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আমি তাদের বলি দুর্নীতি নিয়ে গবেষণার কিছু নাই , ডিসকাস করারও কিছু নাই। কিছু খাতে দুর্নীতি হচ্ছে, অবশ্যই হচ্ছে। তাদের কাছে দুর্নীতি করার ব্যবস্থাও আছে। দুর্নীতির নিশ্চয় একটা ভিত্তি আছে তা না হলে এটা নিয়ে এতো আলোচনা কেন হবে। দুর্নীতি নিয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ’
‘আমার মন্ত্রণালয় নিয়ে যখন প্রশ্ন করে তখন আমি বলি আমি তো বাস্তবায়ন করি না রে ভাই। তখন অনেকে বলে আরে মান্নান সাহেব আপনি কি জানেন দুর্নীতি আপনিই তো বাড়িয়ে দেন। যাক দুর্নীতি নিয়ে একটা আলো আঁধারি বিষয় আছে। সচেতন থেকে দুর্নীতি এড়িয়ে চলতে হবে। ’
পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।