মাউশি : টুকুর বিরুদ্ধে এমপিওভুক্তি ও বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ

অবৈধভাবে এমপিওভুক্তি,বদলি বাণিজ্যে, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম টুকু ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে। আর এসব অবৈধ কাজের মাধ্যমে বিপুল পরিমান সম্পদ অর্জনেরও অভিযোগি উঠেছে তার বিরুদ্ধে। আমিনুল ইসলাম টুকু বর্তমানে মাউশির মাধ্যমিক-১ শাখায় সহকারি পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তদন্ত চলমান আছে।

মাউশি : টুকুর বিরুদ্ধে এমপিওভুক্তি ও বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ

অবৈধভাবে এমপিওভুক্তি, বদলি বাণিজ্যে, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম টুকু ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে। আর এসব অবৈধ কাজের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনেরও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। আমিনুল ইসলাম টুকু বর্তমানে মাউশির মাধ্যমিক-১ শাখায় সহকারি পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তদন্ত চলমান আছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, আমিনুল ইসলাম টুকু যশোর শিক্ষা অফিসে কর্মরত থাকাকালীন অবৈধভাবে ভাবে এমপিও বাণিজ্য শুরু করেন। তার এই কাজে সহযোগিতার জন্য তৎকালীন যশোর শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক এ টি এম জাকির হোসেন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ওমর ফারুক এবং গবেষণা কর্মকর্তা কামরুজ্জামানকে সাথে নিয়ে সিন্ডিকেট গঠন করেন। এসব অপকর্মের মাধ্যমে কোটি টাকা অর্জনেরও অভিযোগ ওঠে টুকু ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।

তবে আমিনুল ইসলাম টুকুর বিরুদ্ধে মাউশিতে সহকারি পরিচালক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠার অভিযোগ আনা হয়। জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে মাউশিতে যোগ দেওয়ার পর পুরোনো আর বর্তমান সহকর্মীদের নিয়ে নতুন সিন্ডিকেট তৈরি করেন তিনি। শুরু করেন এমপিও, বদলি বাণিজ্য, দুর্নীতিসহ সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতা।

অভিযোগ ওঠে সহকারি শিক্ষক বদলিতে ১ থেকে ২ লাখ, প্রধান শিক্ষক বদলিতে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা ঘুষ নেন টুকু। আর জেলা শিক্ষা অফিসারের বদলির ক্ষেত্রে জেলার ধরণ অনুযায়ী ঘুষের অংক নির্ধারণ করেন তিনি।

অভিযোগের বিপরীতে দুদকের চলমান তদন্তের বিষয়টি স্বীকার করেন মাউশির মাধ্যমিক-১ শাখার সহকারি পরিচালক আমিনুল ইসলাম টুকু। তবে তার দুর্নীতির বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। টুকু বলেন, গত বছর দুর্নীতির বিষয় নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন তাদেরকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে চিঠি পাঠানো হয়। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আনিত দুর্নীতির বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে তারা দুদকের কাছে তাদের অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেন। বিষয়টি নিয়ে এখনও তদন্ত চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত আরেক শিক্ষা কর্মকর্তা বর্তমানে খুলনা শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত মো: কামরুজ্জামান তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে তার বিরুদ্ধে চলা দুদকে তদন্তের বিষয়টি তিনিও স্বীকার করেন।

এদিকে দুদক সূত্রে জানা যায়, সিন্ডিকেট প্রধান আমিনুল ইসলাম টুকুর দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করা অঢেল সম্পদের তালিকাও উঠে এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশনে। জানা যায়, তিনি দুর্নীতি করে অবৈধভাবে উপার্জনের মাধ্যমে খুলনার পাইক গাছায় কয়েক একর জমি কিনেছেন। ঢাকায় আছে ফ্ল্যাট। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সাতক্ষীরা শিক্ষা অফিসের নিকটবর্তী এলাকায় নির্মাণ করেছেন ৫তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন।

প্রকৌশল/শা