মিশার জন্য মেডিকেলে পড়তে পারেনি তার স্ত্রী
ভালোবাসা দিবসে গোপন কথা বলে ফেললেন সিনেমার পর্দায় খল অভিনেতা, নায়কের প্রেম আর প্রেমিকা নিয়েই তার যত ঝামেলাকারী অভিনেতার কথা। তিনি আর কেউ নন, যার কথা বলা হচ্ছে, তিনি ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ খলনায়ক মিশা সওদাগর। অথচ এই অভিনেতা বাস্তব জীবনে একজন তুখোড় প্রেমিক। তার প্রেমকাহিনি যেকোনো সিনেমার গল্পকেও হার মানাতে বাধ্য।
ভালোবাসা দিবসে গোপন কথা বলে ফেললেন সিনেমার পর্দায় খল অভিনেতা, নায়কের প্রেম আর প্রেমিকা নিয়েই তার যত ঝামেলাকারী অভিনেতার কথা। তিনি আর কেউ নন, যার কথা বলা হচ্ছে, তিনি ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ খলনায়ক মিশা সওদাগর। অথচ এই অভিনেতা বাস্তব জীবনে একজন তুখোড় প্রেমিক। তার প্রেমকাহিনি যেকোনো সিনেমার গল্পকেও হার মানাতে বাধ্য।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের এই দিনে মিশা সওদাগরের ভালোবাসার গল্প শোনা যাক। বিয়ের আগে ১০ বছর চুটিয়ে প্রেম করেছেন মিশা। প্রেমের যখন শুরু তখন মিশা ম্যাট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষার্থী। আর স্ত্রী মিতা পড়তেন নবম শ্রেণিতে।
আজ তার ২৭তম বিবাহ বার্ষিকীতে নিজের প্রেমের গল্প শোনালেন একটি অনলাইনকে। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার আম্মা ও মিতার আম্মা নিকটাত্মীয়। আমাদের বাসা এবং তাঁদের বাসায় যাতায়াত ছিল। প্রথম দেখায় মিতার যে জিনিসটা পছন্দ হয়... আমরা তো ঢাকার লোক, নিজের ড্রেসআপ গেটআপের দিকে খেয়াল করতাম। পড়াশোনার দিকে খেয়াল করতাম না। কিন্তু মিতা ফাইভে বৃত্তি পাওয়া মেয়ে। তার মেধা আমাকে খুব আকৃষ্ট করে। এই জায়গা থেকে আমার ফিল আরম্ভ হয়। প্রথম একটা চিঠি দিয়ে প্রেমের শুরুটা করেছিলেন মিতা।
তবে দুজনের ১০ বছরের প্রেমের গল্প মোটেও সহজ ছিল না। ছিল পারিবারিক আপত্তি। এমনকী মিশা দেখা করতে যাওয়ার মেডিকেলে পড়া হয়নি স্ত্রীর মিতার। সেই গল্প মিশা বলেছিলেন এভাবে, ‘মিতা চট্টগ্রাম মেডিকেলে চান্স পেয়েছিল। আমি সেখানে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেই খবরে ওর আব্বা ওর চট্টগ্রামে পড়া বন্ধ করে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে ভর্তি করেছিল। এ ছাড়া আরো অনেক ঝামেলা গেছে আমাদের। কিন্তু, আমরা দুজন দুজনকে ছাড়িনি। একবার এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে তাকে বিদেশে পাঠাতে চেয়েছিল, তখন আমরা বিয়ে করি।’
বর্তমানে মিশা-মিতা দম্পতির দুই পুত্র সন্তানের জনক। তারা আমেরিকাতে থাকেন। আর সুযোগ পেলেই মিশা সেখানে উড়াল দেন স্ত্রী-পুত্রকে সময় দিতে।
সূত্র: এনটিভি অনলাইন