শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় দেশের ৪৬১ উপজেলা : সংসদে প্রতিমন্ত্রী
দেশের ৪৬১টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ (১ সেপ্টেম্বর) বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংরক্ষিত আসনের এমপি মমতা হেনা লাভলীর প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
দেশের ৪৬১টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ (১ সেপ্টেম্বর) বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংরক্ষিত আসনের এমপি মমতা হেনা লাভলীর প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
মমতা হেনা লাভলীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি জনগণকে বিদ্যুতের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু দুর্গম অফগ্রিড এলাকা ছাড়া মুজিববর্ষে গ্রিড-অফগ্রিড নির্বিশেষে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম নিশ্চিতের রোডম্যাপ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে।
সরকার দলীয় এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৬ দশমিক ৪২ ভাগ আবাসিক খাতে, ১০ দশমিক ৫৮ ভাগ বাণিজ্যিক খাত এবং ২৮ দশমিক ৪০ ভাগ শিল্পখাতে ব্যবহার হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলমান শতভাগ বিদ্যুতায়নের কার্যক্রমের কারণে আবাসিক খাতে বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে। সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ও ইকোনোমিক জোনগুলো পর্যায়ক্রমে চালু হলে শিল্প খাতেও বিদ্যুতের ব্যবহারে পর্যায়ক্রমে বাড়বে।
সরকার দলীয় সদস্য নুরন্নবী চৌধুরী প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ও ভবিষ্যতে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা বিবেচনা করে ২০২১ সালের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার মেগাওয়াট নির্ধারণ করা হয়েছিল। গত ১২ বছরে ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোহ্য জ্বালানীসহ ২৫ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াটে উন্নীত হওয়ার মাধ্যমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে আগস্ট মাসে দৈনিক প্রায় দুই হাজার ৪৮৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হয়েছে। আর আটটি গ্রাহক শ্রেণীতে সংরক্ষিত অনুমোদিত গ্যাস লোড অনুযায়ী দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বর্তমান চাহিদার দৈনিক প্রায় ৩ হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
পেট্রোবাংলার অধীন ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ক্যাপটিভ পাওয়ার, শিল্প, সার কারখানা, সিএনজি, গৃহস্থালী, বাণিজ্যিক ও চা বাগান শ্রেণিতে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাহিদার তুলনায় দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উৎপাদন কম হওয়ায় এলএনজি আমদানির মাধ্যমে ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আগস্ট মাসে দৈনিক প্রায় ৭১১ মিলিয়ন ঘনফুট আরএলএনজি জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে দেশে দৈনিক প্রায় ৩ হাজার ৯৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।