ইউএনএইচসিআর'এর শুভেচ্ছা দূত তাহসান
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানকে বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূত হিসাবে ঘোষণা করেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানকে বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূত হিসাবে ঘোষণা করেছে।
এবারই প্রথম কোনও বাংলাদেশীকে দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
শনিবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলাদেশ প্রধান স্টিফেন করলিস।
সারাবিশ্বে শরণার্থী সংস্থার মোট ৩২ জন শুভেচ্ছাদূত আছেন বিশ্বজুড়ে, যারা তাদের জনপ্রিয়তা, নিষ্ঠা ও কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত শরণার্থীদের পরিস্থিতি ও সংস্থাটির কার্যক্রম সবার সামনে তুলে ধরেন।
২০১৯ সাল থেকে তাহসান শরণার্থীদের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার বিভিন্ন উদ্যোগে ইউএনএইচসিআর-এর সাথে কাজ করে চলেছেন।
অনুষ্ঠানে তাহসান বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি সম্মানিত ও গর্বিতবোধ করছি। পৃথিবীর এক শতাংশেরও বেশি মানুষ আজ সংঘাত ও নির্যাতনের কারণে বাস্তুচ্যুত। ভাগ্যবান ৯৯ শতাংশ মানুষের একজন হিসেবে শরণার্থীদের হয়ে কথা বলা আমার মানবিক দায়িত্ব।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারকে ধন্যবাদ জানান তাহসান খান।
এই সমস্যা একদিনে সমাধান হবে না এবং এই পথটি অনেক দুর্গম বলেও তিনি মনে করেন। বলেন, ‘এতবড় দায়িত্ব নিতে পারবো কিনা সেটি নিয়ে আমি শঙ্কিত। সবার সহায়তা চাইছি।’
রোহিঙ্গাদের জন্য কোনও চলচ্চিত্র বা নাটক তৈরি করবেন কিনা জানতে চাইলে, ‘এটি নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। তবে প্রথমে একটি গান অডিও-ভিডিও আকারে করবো।’
এদিকে ইউএনএইচসিআর-এর বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস বলেন, ‘এটা সত্যিই আমাদের জন্য সম্মান ও গর্বের ব্যাপার যে, তাহসান বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর শুভেচ্ছাদূত হতে সম্মত হয়েছেন। তিনি শুধু একজন মেধাবী সংগীতশিল্পী ও অভিনেতাই নন, তিনি শরণার্থীদের জন্য নিবেদিত একজন অসাধারণ মানুষ। যিনি বাংলাদেশে ও দেশের বাইরে বেশ জনপ্রিয় ও সমাদৃত। আমি নিশ্চিত, তাহসান শরণার্থীদের অধিকার, কল্যাণ ও সুরক্ষার জন্য এক নতুন কণ্ঠস্বর হয়ে কাজ করবেন।'
আগামী ২ বছর তাহসান এই সংস্থাটির হয়ে বৈশ্বিকভাবে কাজ করবেন।
ইউএনএইচসিআর সারাবিশ্বের শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুতদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, জীবন-রক্ষাকারী সহায়তা দেয় আর সংকট সমাধানের উদ্দেশ্যে কাজ করে।
বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর কাজ শুরু হয় ১৯৭১ সালে শরণার্থী বাংলাদেশীদের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে। চলমান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সংস্থাটির বাংলাদেশের কার্যক্রম এখনও বিদ্যমান।