সিরিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ২৮

সিরিয়ার পশ্চিমাংশে একটি বাসে হামলা চালিয়ে অন্তত ২৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তারা সবাই দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্য। তবে, হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

সিরিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ২৮

সিরিয়ার পশ্চিমাংশে একটি বাসে হামলা চালিয়ে অন্তত ২৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে।  ধারণা করা হচ্ছে তারা সবাই দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্য। তবে, হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবার ডেইল আল-জোওর প্রদেশে বাসটির উপর হামলা চালানো হয়।  সেখানে বলা হয়, হামলায় নিহতরা ‘নাগরিক’।

কিন্তু অন্যান্য সূত্র বিশেষ করে কিছু পর্যবেক্ষক দল জানিয়েছে ওই এলাকায় সেনারা টহলে ছিলো এবং মৃতের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে।

তবে এখনও এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।  যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) এই হামলার দায় দিয়েছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর উপর। তাদের তথ্যমতে, ৩৭ জন সেনা মারা গেছে।

বিভিন্ন সূত্র উল্লেখ করে এসওএইচআর জানিয়েছে, এটা আইএস সদস্যদের পরিকল্পিত আক্রমণ। সরকারপন্থী মিলিশিয়া ও সৈন্যদের বহনকারী তিনটি বাস ছিলো তাদের টার্গেট।

অন্য কিছু সূত্রের উল্লেখ করে রয়টার্সও জানিয়েছে, বাসগুলোতে সিরিয়ান রাষ্ট্রীয় সেনাদের পরিবহন করা হচ্ছিলো।

প্রাচীন শহর পালমিরার পাশে এই এলাকায় সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের সরকারের অনুগত সিরিয়ান সেনা এবং আইএস যোদ্ধাদের মধ্যে প্রায়শই সংঘর্ষ লেগে থাকে।

এর আগে ২০১৪ সালে আইএস লাখ লাখ মানুষের উপর তাদের নৃশংস শাসন চাপিয়ে দেয়, সেসময় পশ্চিম সিরিয়া থেকে পূর্ব ইরাক পর্যন্ত বিস্তৃত ৮৮ হাজার কিলোমিটার তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।

পাঁচ বছর যুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্রদের সহযোগিতায় স্থানীয় বাহিনী ওই এলাকা আইএসের হাত থেকে পুনরুদ্ধার করে। ২০১৯ সালের মার্চে সিরিয়া ও ইরাকে আঞ্চলিকভাবে আইএসকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু সিরিয়ার কিছু অংশে এখনও তারা উপস্থিতি জানান দিচ্ছে, যেটা ২০১১ থেকে চলমান গৃহযুদ্ধ এবং আইএসের বিভিন্ন অংশের আক্রমণের মধ্যে দিয়ে টিকে আছে।  এই হামলাটা আইএসের এই বছরের সবচেয়ে মারাত্মক হামলা বলেই উল্লেখ করেছে এসওএইচআর।