২০০ মার্কিনী কাবুলে
মার্কিন সামরিক বাহিনীর সবশেষ ৫টি ফ্লাইট চূড়ান্তভাবে দেশটির ভূখণ্ড ছাড়ার ঘোষণা দিলেও কাবুলে প্রায় ২০০ মার্কিন নাগরিক ও দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক হাজার হাজার আফগানকে ফেলে রেখে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা এপি'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার মার্কিন সামরিক বাহিনী চূড়ান্তভাবে আফগান ভূখণ্ড ছাড়লেও কাবুলে প্রায় ২০০ মার্কিন নাগরিককে ফেলে রেখে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক হাজার হাজার আফগান নাগরিককেও ফেলে রেখে গেছে দেশটি। এপি'র বিশ্লষণে বলা হচ্ছে তাদেরকে কাবুল ছাড়ার জন্য এখন তালেবানের অনুমতির ওপর নির্ভর করতে হবে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর সবশেষ ৫টি ফ্লাইট চূড়ান্তভাবে দেশটির ভূখণ্ড ছাড়ার ঘোষণা দিলেও কাবুলে প্রায় ২০০ মার্কিন নাগরিক ও দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক হাজার হাজার আফগানকে ফেলে রেখে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা এপি'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার মার্কিন সামরিক বাহিনী চূড়ান্তভাবে আফগান ভূখণ্ড ছাড়লেও কাবুলে প্রায় ২০০ মার্কিন নাগরিককে ফেলে রেখে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক হাজার হাজার আফগান নাগরিককেও ফেলে রেখে গেছে দেশটি। এপি'র বিশ্লষণে বলা হচ্ছে তাদেরকে কাবুল ছাড়ার জন্য এখন তালেবানের অনুমতির ওপর নির্ভর করতে হবে।
আফগানিস্তান থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়ার এই কাজে যুক্ত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কর্মকর্তা অ্যালেক্স প্লিটাস। তিনি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, তালেবান ওই মার্কিনদের শেষ মুহূর্তে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে দেয়নি। এমন অনেকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, 'লোকজন সরিয়ে নেওয়ার এই প্রক্রিয়া শেষ করার ক্ষেত্রে তালেবান অসহযোগিতা করেছে। বিমানবন্দরের গেটের বাইরে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তালেবান।'
ওয়াশিংটনে তিনি বলেন, এটি ছিল ব্যাপক সামরিক, কূটনৈতিক এবং মানবিক কর্মযজ্ঞ এবং যা যুক্তরাষ্ট্র অনেক চ্যালেঞ্জের সাথে বাস্তবায়ন করেছে। তার ভাষায়, 'নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হলো। সামরিক মিশন সমাপ্ত হয়ে নতুন এক কূটনৈতিক মিশন শুরু হলো।'
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র চূড়ান্তভাবে আফগানিস্তান ছাড়লেও দেশটিতে থাকা মার্কিন নাগরিক ও আফগানদের বের করে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাবে ওয়াশিংটন। এছাড়া কাবুল বিমানবন্দর ফের চালু হলে বিমানের মাধ্যমে বা স্থলপথে তাদেরকে বের করে আনতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেশিদের সঙ্গে কাজ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, কাবুলের মার্কিন কূটনৈতিক মিশন স্থগিত করে দোহায় নিয়ে যাওয়া হলেও, আমেরিকান নাগরিক এবং যে আফগানদের যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট রয়েছে, তারা চাইলে তাদের আফগানিস্তান ছাড়তে সহায়তা করা হবে।
তবে ব্লিংকেন এটিও বলেছেন যে, তালেবানকে বৈধতা অর্জন করতে হবে। সেই সঙ্গে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে কি না এবং নাগরিকদের ভ্রমণে স্বাধীনতা দেওয়া, নারীদের অধিকার রক্ষা এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে দমন করছে কি না-এসব বিষয় বিশ্ববাসীর নজরে থাকবে।