‘জুমাতুল বিদা’য় করোনা থেকে মুক্তির কামনা
রমজান মাসের শেষ জুমার নামাজে প্রতিটি মসজিদে দেশের শান্তি ও করোনা থেকে মুক্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। একইসঙ্গে খুতবায় সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ও জাকাত আদায়ের আহ্বান করা হয়েছে।
রমজান মাসের শেষ জুমার নামাজে প্রতিটি মসজিদে দেশের শান্তি ও করোনা থেকে মুক্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়েছে। একইসঙ্গে খুতবায় সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ও জাকাত আদায়ের আহ্বান করা হয়েছে।
রমজানের শেষ জুমা আদায় করতে শুক্রবার দুপুর ১২টার পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মসজিদগুলোতে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। নামাজ শুরুর আগেই সব মসজিদ কানায় কানায় ভরে যায়। মসজিদে ঠাঁই না পেয়ে অনেকে রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করেন। কিছু কিছু মসজিদে সামাজিক দূরত্ব মানা হলেও লোক সমাগম বেশি হওয়ায় অনেক মসজিদে মানা হয়নি সেই দূরত্ব। তবে অধিকাংশ মুসল্লির মুখে মাস্ক ছিল। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সব মসজিদেই ঈদের নামাজের আগেই ফিতরার টাকা পরিশোধের আহ্বান জানানো হয়।
রমজান মাসজুড়ে রোজা রাখা আর ইবাদত-বন্দেগির অংশ হিসেবে জুমাতুল বিদা’র দিনে নাজাত প্রার্থনা করেন সবাই। প্রতিটি মসজিদেই দেশের শান্তি ও করোনা থেকে মুক্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়। এছাড়া মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও রহমত কামনা করেন মুসল্লিরা। অনেকে নাজাত পেতে কান্নায় ভেঙে পড়েন। দোয়া করা হয় বছরের বাকি দিনগুলোতে যেন পাপ ও অকল্যাণ থেকে মুক্ত থাকা যায় সেজন্যও।
মুসলমানদের কাছে সপ্তাহের অন্য দিনের চেয়ে শুক্রবারের মর্যাদা অধিক। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে আসা রমজান মাসের শুক্রবারগুলোর মর্যাদা আরও অধিকতর। বিশেষ করে এই মাসের শেষ জুমা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। একইসঙ্গে এ দিনকে আল কুদস দিবস হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, রমজান মাসের সর্বোত্তম বা উৎকৃষ্ট দিবস হলো জুমাতুল বিদা। রমজান মাসের শেষ শুক্রবার অথবা শেষ জুমাবারের দিন জুমাতুল বিদা হিসেবে মুসলিম বিশ্বে পরিচিত। এ মাসের শেষ জুমার দিন পালিত হয় আল কুদস দিবস। তাই দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।