কদমতলীতে মার্ডারের ঘটনায় মেহজাবিন ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকা থেকে বাবা-মা ও মেয়ের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ওই পরিবারের বড় মেয়ে মেহজাবিন মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকা থেকে বাবা-মা ও মেয়ের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ওই পরিবারের বড় মেয়ে মেহজাবিন মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুন) দিনগত রাতে নিহত মাসুদ রানার (৫০) বড় ভাই শাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে কদমতলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে বলেন, নিহত মাসুদ রানার বড় ভাই ও আটক মেহজাবিন ইসলাম মুনের বড় চাচা সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
জামাল উদ্দিন মীর আরও বলেন, শনিবার (১৯ জুন) সকাল ৮ টায় খুনি মেহজাবিন মুন নিজেই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে খুনের বিষয়টি জানায়। ফোনে তিনি পুলিশকে বলেন, আমি আমার বাবা, মা ও ছোট বোনকে খুন করেছি। আপনারা দ্রুত আসুন, আসতে দেরি করলে আমার স্বামী ও মেয়েকেও মেরে ফেলবো।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কদমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুরাদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে বাবা-মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুল (২০)। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বড় মেয়ে মেহজাবিন মুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, মুন নিজেই এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন।
বাবা-মা ও বোনকে হত্যার অভিযোগে মেহেজাবিন ও তার স্বামী শফিকুলের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক মেহেজাবিনকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি শফিকুল ইসলাম এখন মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন।
মেহজাবিন মুনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১৮ জুন) দিনগত রাতের কোনো এক সময় খাবারের সঙ্গে পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার মুন। মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধে সবাইকে অচেতন করে বাবা-মা ও বোনের হাত-পা বাধা হয়। এরপর শ্বাসরোধ করে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেন মুন।
প্রকৌশল নিউজ/সু