বিশ্বের ৪৪ দেশে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত : ডব্লিউএইচও
করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের তাণ্ডবে ভেঙে পড়েছে ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। দেশটিতে ভয়াবহ মাত্রায় বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে দেশটিতে। বি.১.৬১৭ নামের নতুন ভ্যারিয়েন্টে বিপর্যস্ত ভারত। ইতোমধ্যেই দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৩৩ লাখেরও অধিক।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের তাণ্ডবে ভেঙে পড়েছে ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। দেশটিতে ভয়াবহ মাত্রায় বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে দেশটিতে। বি.১.৬১৭ নামের নতুন ভ্যারিয়েন্টে বিপর্যস্ত ভারত। ইতোমধ্যেই দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৩৩ লাখেরও অধিক।
এর মাঝেই এক ভয়ঙ্কর খবর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি জানিয়েছে, ভারতে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের বি.১.৬১৭ নামক ভ্যারিয়েন্টটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৪৪টি দেশে খুঁজে পেয়েছেন তাদের বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলবার (১১ মে) এ খবর দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ভারতের পরে এই ভাইরাসের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে ব্রিটেনে। ভাইরাসের অন্য ধরনগুলোর তুলনায় ভারতীয় এ ধরনটি অনেক দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে আগেই সতর্ক করেছিল ডব্লিউএইচও।
করোনার ভারতীয় এই নতুন ধরনটি তুলনামূলক বেশি সংক্রামক। শুধু তাই নয়, টিকা গ্রহণ করা ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা হলেও ভাঙতে সক্ষম ভাইরাসের নতুন এ ধরনটি। আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, এমন ব্যক্তিকেও আবার আক্রান্ত করতে সক্ষম ভাইরাসের ডবল মিউটেশন।
এমনকি করোনার টিকার মাধ্যমে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় সেই অ্যান্টিবডিও অনেক সময় এই ভাইরাসকে রুখতে ব্যর্থ হয়। ফলে টিকা নেয়ার পরও অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই বিজ্ঞানীরা ভারতের করোনার এই ধরন নিয়ে বেশি চিন্তিত।
এ দিকে ভারতে শনাক্ত করোনার এ ধরনটি ছড়িয়ে পড়া দেশগুলোকে সতর্ক করেছে ডব্লিউএইচও। সংস্থাটি বলছে, করোনাভাইরাসের এ ধরনটি ভারতে প্রথম শনাক্ত হলেও এখন সেটা বিশ্বের ৪৪টি দেশে তা পাওয়া গেছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে। এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ কমিয়ে আনা। এ জন্য সব দেশকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে এই ভাইরাস আরও অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর করোনার ভারতীয় ধরনকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল ডব্লিউএইচও। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চলতি সপ্তাহে ধরনটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ বা ‘উদ্বেগের বিষয়’ বলে বর্ণনা করে সংস্থাটি। এর আগে করোনার ব্রিটেন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনগুলোকেও ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে উল্লেখ করেছিল ডব্লিউএইচও।