অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে নৌকাডুবিতে ৫৭ জন নিহত, ৩৩ বাংলাদেশি উদ্ধার
লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার সময় তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৩৩ বাংলাদেশিকে। খবর আল জাজিরা ও রয়টার্সের।
লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার সময় তিউনিশিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫৭ জন নিহত হয়েছেন। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৩৩ বাংলাদেশিকে। খবর আল জাজিরা ও রয়টার্সের।
মঙ্গলবার তিউনিশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার (১৭ মে) তিউনিশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলের স্যাক্স এলাকার কাছে অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যায়। নৌকাটি ডুবে যেতে দেখে সেখানকার স্থানীয় একটি তেলক্ষেত্রের কর্মীরা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দেন। পরবর্তীতে তিউনিশিয়া নৌবাহিনীর কয়েকটি ইউনিট হতাহতদের উদ্ধার করে।
তিউনিসিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ জেকরি জানিয়েছেন, সোমবার উত্তর লিবিয়া থেকে ৯০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে একটি নৌকা ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। কিন্তু সেটি তিউনিসিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আসার পর ডুবে যায়। সেখান থেকে ৩৩ জন বাংলাদেশিকে জীবন্ত উদ্ধার করা হয়। বাকিরা ডুবে মারা যায়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ভূ-মধ্যসাগরীয় সমন্বয় অফিসের মুখপাত্র ফ্লাভিও ডি গায়াকোমো টুইটারে বলেছেন, তিউনিশিয়া উপকূল থেকে যে ৩৩ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের সবাই বাংলাদেশের। তবে নৌকাডুবিতে নিহতদের জাতীয়তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
রোববার অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে নৌকাটি লিবিয়ার জাওয়ারা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল বলে জানিয়েছে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশিরা।
রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এই ৯০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
ইউরোপগামী অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগরীয় সমুদ্রপথ পাড়ি দেওয়ার যাত্রা শুরুর অন্যতম এক কেন্দ্র লিবিয়া। দারিদ্র্য অথবা সংঘাত থেকে বাঁচতে প্রায়ই নিজ দেশ ছেড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য ভূমধ্যসাগরীয় সমুদ্রপথ বেছে নেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা।
গত কয়েক মাসের মধ্যে তিউনিশিয়া উপকূলে পঞ্চমবারের মতো নৌকাডুবির ঘটনা এটি। চলতি মাসের শুরুর দিকে তিউনিশিয়া উপকূলে অন্তত ১৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ডুবে যান এবং দু’জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।