আইএস বধু শামিমার বৃটেনে ফেরা বন্ধ করে দিলো আদালত

আইএস বধু হিসেবে পরিচিত শামিমা বেগম বৃটেনে ফিরতে পারবেনা বলে রায় দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের রায়ে বলা হয়, নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করতেও শামিমা বৃটেনে প্রবেশের সুযোগ পাবে না।

আইএস বধু শামিমার বৃটেনে ফেরা বন্ধ করে দিলো আদালত

আইএস বধু হিসেবে পরিচিত শামিমা বেগম বৃটেনে ফিরতে পারবেনা বলে রায় দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের রায়ে বলা হয়, নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করতেও শামিমা বৃটেনে প্রবেশের সুযোগ পাবে না।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জিহাদি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয়া সাবেক এই বৃটিশ নাগরিকের বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়।

জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়ার জন্য ২০১৯ সালে বৃটিশ সরকার শামিমা বেগমের নাগরিকত্ব কেঁড়ে নেয়। সেসময় বৃটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামিমাকে বাংলাদেশি বলে দাবি করেছিলেন। তখন শামিমা ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে জানায়, সে বৃটেন ছাড়া অন্য কোনো দেশের নাগরিক নয় এবং সাজিদ জাভিদের ওই সিদ্ধান্ত তাকে রাষ্ট্রহীন করেছে।

গত বছরের জুলাই মাসে বৃটেনের আপিল বিভাগ জানিয়েছিল, শামিমাকে বৃটেনে ফেরার অনুমতি দেয়া হলে সে আদালতে তার নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে। কিন্তু নভেম্বরে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বৃটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, শামিমা বৃটেনে প্রবেশ করলে তা হবে দেশের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন।

বৃটিশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আইএসে যোগ দেয়া জিহাদিরা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ। এরপর শুক্রবারের রায়ের মধ্য দিয়ে শামিমার নাগরিকত্ব আবেদনের সুযোগ একেবারে বন্ধ হয়ে গেলো। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন সাজিদ জাভিদ।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে শামিমা তার দুই বন্ধুর সঙ্গে ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে তুরস্ক হয়ে সিরিয়া যায়। সেসময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৫। সিরিয়ায় ইসলামিক খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সেখানে যুদ্ধ করতে যায় জঙ্গিরা।

শামিমা ওই খেলাফত রাষ্ট্রের রাজধানী রাক্কায় বাস করতো। সেখানে সে এক আইএস জিহাদিকে বিয়ে করে। তাদের তিনটি সন্তানের জন্ম হলেও তারা সকলেই মারা গেছে। এরপর ইসলামিক স্টেটের পতন হলে সিরিয়ার আল-রোজ শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয় শামিমা। এই শিবিরগুলো পরিচালনা করে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স।

প্রকৌশল নিউজ/এস