আগামীকাল থেকে দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম ক্রমবর্ধমান হওয়ার কারণে সৃষ্ট বিদ্যুৎ সংকট কমাতে সরকার এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং এবং ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা সহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম ক্রমবর্ধমান হওয়ার কারণে সৃষ্ট বিদ্যুৎ সংকট কমাতে সরকার এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং এবং ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা সহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে আগামীকাল থেকে এক ঘণ্টা বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকবে এবং আজ থেকে ডিজেল চালিত প্ল্যান্টে উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ড. নসরুল হামিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘণ্টাব্যাপী লোডশেডিং চলবে এবং তা পর্যাপ্ত না হলে সরকার লোডশেডিংয়ের মেয়াদ বাড়াবে।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় ১,০০০ মেগাওয়াট থেকে ১,৫০০ মেগাওয়াট ঘাটতি হবে। ফলে কর্তৃপক্ষ সারাদেশে পর্যায়ক্রমে এক থেকে দুই ঘণ্টা বিদ্যুতের লোডলোডশেডিং করতে বাধ্য হবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সমন্বয় সভার পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, দেশে ফিলিং স্টেশনগুলোও সপ্তাহে এক দিন বন্ধ রাখা হবে। তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সাময়িক... বৈশ্বিক পরিস্থিতির উন্নতির পরপরই আমরা সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরে যাব।’
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার ডিজেলের খরচ কমাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি জানান যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মতো কিছু ধনী দেশও পরিস্থিতি সামাল দিতে লোডশেডিং করছে ।
নসরুল হামিদ বলেন, মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ১,৫০০ মেগাওয়াট বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট কখন, কোন এলাকায় হবে, আমরা তা আগাম জানিয়ে দেবো। আমরা শিল্প খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আগামী এক সপ্তাহে দেশে এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ নেবে। দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার আন্তর্জাতিক বাজার থেকে গ্যাস কিনবে না বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ১০ শতাংশ ডিজেল ব্যবহৃত হয়, বাকিটা পরিবহন খাতে ব্যবহৃত হয় এবং ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হলে সরকার যথেষ্ট পরিমাণ পেট্রোল বাঁচাতে সক্ষম হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড কায়কাউস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বৈঠকে বিদ্যুৎ বাঁচাতে সরকারি ও বেসরকারি অফিস ভার্চুয়াল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার সরকারি অফিস সময় কীভাবে কমানো যায় তাও বিবেচনা করা হচ্ছে। বৈঠকে জানানো হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ভার্চুয়ালি সরকারি অফিসের ব্যবস্থাপনা সমন্বয় করবে।