আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়া ১৮ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিককে ইতিমধ্যে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়া ১৮ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিককে ইতিমধ্যে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
পাশপাশি তাদের বসবাসযোগ্য আবাসনসহ সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই কথা বলেন। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন এই তথ্য জানিয়েছেন।
বৈঠকে জানানো হয়, সরকার কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও জানানো হয়, সরকার এর আগে ১৮ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করেছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, ভাসানচরের উন্নত পরিবেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাসের উপযোগী ব্যবস্থাসহ সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।
পিএমও সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রকৌশলনিউজ/এসএআই