ইসরাইলে প্রতিবাদী রকেট হামলা চালাল সিরিয়া
ফিলিস্তিনের গাজায় নিরপরাধ সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে হামলার প্রতিবাদে এবার ইসরাইলে রকেট হামলা চালিয়েছে সিরিয়া।
ফিলিস্তিনের গাজায় নিরপরাধ সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে হামলার প্রতিবাদে এবার ইসরাইলে রকেট হামলা চালিয়েছে সিরিয়া।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৪ মে) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম হারেজ ও এপিনিউজ জানিয়েছে, সিরিয়া থেকে ইসরায়েলের দিকে অন্তত তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
রকেটগুলোর দুটি গোলান মালভূমি অতিক্রম করতে পারেনি। সেখানে খোলা জায়গায় পতিত হয়েছে। অন্যটিও সিরিয়া সীমান্ত অতিক্রম করতে পারেনি। তার আগেই ভূমিতে পতিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, লেবানন সীমান্তের নাকৌড়ার উত্তরে ক্লাইলেহ অঞ্চল থেকে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যা গালিল উপকূলে ভূমধ্যসাগরে পতিত হয়। ইসরায়েলের ধারণা, লেবানন ভূখণ্ড থেকে তাদের শত্রু হিজবুল্লাহ এ হামলা চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ লেবানন থেকেও ইসরায়েলের দিকে রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ছাড়া গাজা থেকে এখন পর্যন্ত ইসায়েলকে টার্গেট করে দেড় সহস্রাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস।
গত ৯ মে রাতে আল-আকসা মসজিদে শবে কদরের (লায়লাতুল কদর) নামাজ আদায় শেষে মসজিদ চত্বরে অবৈধ দখলদারিত্বের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন সেখানে উপস্থিত ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা। স্বাভাবিকভাবেই তা দমাতে তৎপর হয়ে ওঠে ইসরায়েলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ সময় বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যকার সংঘাতে আহত হন অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি। সংঘাতের পর থেকে আল-আকসা মসজিদ ও আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখে ইসরায়েলি পুলিশ।
এর জেরে ফিলিস্তিনের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হামাস হুমকি দেয় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন সরকারকে। হামাসের পক্ষ থেকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়, ১০ মে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ চত্বর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার না করা হলে তার পরিণতির জন্য ইসরায়েল সরকার দায়ী থাকবে।
ইসরায়েল এই হুমকিকে আমলে না নেয়ায় ১০ মে সন্ধ্যার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। এরপর চলতে থাকে হামলা-পাল্টা হামলা।
এ হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৬ জন। অপরদিকে হামাসের পাল্টা রকেট হামলায় এখন পর্যন্ত আটজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুই শিশু, একজন ভারতীয়, একজন বয়স্ক নারী ও এক ইসরাইলি সেনা সদস্য রয়েছেন।