ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে অনাগ্রহী বাংলাদেশ: রয়টার্স
ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশ আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশ আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আমাদের অবস্থান আগের মত একই রয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের বাংলাদেশের কোনও আগ্রহ নেই।
প্রসঙ্গত, মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক চালু করতে চেষ্টা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে মুসলিম দেশ হিসেবে পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কোর সাথে সম্পর্ক গড়েছে ইসরায়েল। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা ছাড়ার আগে আরও দুটি মুসলিম দেশের সঙ্গে ইসরাইল সম্পর্ক স্থাপন করবে বলে দাবি করেছেন এক ইসরায়েলি মন্ত্রী। সে অনুযায়ী এখন পঞ্চম মুসলিম দেশের সন্ধানে রয়েছে ওয়াশিংটন-জেরুজালেম। ফলে ইসরায়েল এখন এশিয়ার কোনও মুসলিম দেশের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী।
এদিকে, ইসরায়েলের আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী অফির আকুনিস স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে বলেন, আমি বিশ্বাস করি, শান্তিচুক্তির ভিত্তিতে আরেকটি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে প্রকাশ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে, এ ধরনের একটি মার্কিন ঘোষণা আসবে। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পরবর্তী দুটি দেশ বাছাই করা হয়েছে। যার একটি মুসলিম দেশ, তবে পাকিস্তান নয়।
অন্যদিকে, গত সেপ্টেম্বরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন, সরকার নৈতিকতার জায়গা থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পক্ষে রয়েছে এবং থাকবে। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিষ্কারভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বলেছেন, আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে রয়েছি। আমরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কবিহীন পথচলা অব্যাহত থাকবে।