নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো পাকিস্তান

সেঞ্চুরি করেও পাকিস্তানকে জয় এনে দিতে পারলেন না ফাওয়াদ আলম। প্রথম টেস্টে ১০১ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেলো নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো পাকিস্তান

সেঞ্চুরি করেও পাকিস্তানকে জয় এনে দিতে পারলেন না ফাওয়াদ আলম। প্রথম টেস্টে ১০১ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেলো নিউজিল্যান্ড।
 
৩৭৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে পঞ্চম বা শেষদিনে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ২৭১ রানে। এর আগে প্রথম ইনিংসে ২৩৯ রান করেছিল সফরকারীরা। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে করে ৪৩১ রান। ৫ উইকেটে ১৮০ রান করে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ব্ল্যাক ক্যাপরা।  

বুধবার মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ের বে ওভালে ৩ উইকেটে ৭১ রান নিয়ে পঞ্চমদিন শুরু করে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে থাকা আজহার আলী ও ফাওয়াদ আলম শুরু থেকে মাটি কামড়ানো ব্যাটিংয়ে চেষ্টা করেছিলেন দলকে ড্র এনে দিতে।  

সেই লক্ষ্যে তারা এগিয়েও যাচ্ছিলেন। কিন্তু ১২০ বলে ৩৮ রান করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে উইকেটরক্ষক বিজে ওয়াটলিংয়ের গ্লাভসে বন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন আজহার। এরপর  মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন ফাওয়াদ। দু’জনে গড়েন ১৬৫ রানের জুটি। ১১ বছর পর টেস্ট ক্যারিযারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি উদযাপন করেন ফাওয়াদ। ২০০৯ সালের পর চলতি বছরই পাকিস্তানের টেস্ট দলে ফিরেন তিনি।  

তবে কাইল জেমিসন ব্র্যাক থ্রু এনে দেন কিউইদের। দলীয় ২৪০ রানে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান। পাকিস্তানের অধিনায়ক-উইকেটরক্ষকের ১৯১ বলে ৬০ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ চারে। প্রথম ইনিংসেও ফিফটি পেয়েছিলেন তিনি।  

এরপর স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ২ রান যোগ হতেই বড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ঢাল হয়ে থাকা ফাওয়াদকে ফেরান নেইল ওয়াগনার। তার ২৬৯ বলে ধৈর্যশীল ১০২ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৪ চারে। এরপর ফাহিম আশরাফ (১৯) দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দ্রুত ফেরত যান ইয়াসির শাহ (০) ও মোহাম্মদ আব্বাস (১)। শেষ উইকেট হিসেবে নাসিম শাহকে (১) মিচেল স্যান্টনার আউট করলে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠে নিউজিল্যান্ড। ৩১ রান নিতে শেষ ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান।  ব্যক্তিগত ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন শাহীন আফ্রিদি।  

ম্যাচ সেরা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান উইলিয়ামসন। দু’দলের দুই টেস্ট সিরিজে শেষ ম্যাচটি শুরু হবে ০৩ জানুয়ারি, ক্রাইস্টচার্চে। এটিই ছিল বছরের শেষ টেস্ট।