ঘুষের টাকাসহ দুদকের জালে সাব রেজিস্ট্রার

ঘুষের টাকাসহ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাব রেজিস্টার ও অফিস মোহরারকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় তাদরে কাছ থেকে ঘুষের ৬ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা জব্দ করা হয়।

ঘুষের টাকাসহ দুদকের জালে সাব রেজিস্ট্রার

ঘুষের টাকাসহ কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাব রেজিস্টার ও অফিস মোহরারকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় তাদের কাছ থেকে ঘুষের ৬ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এই অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার ও ঘুষের টাকা জব্দ করা হয়।

জানা যায়, চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসে সন্ধা ৬টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ঘুষের টাকাসহ চকরিয়ার সাব রেজিস্ট্রার মো. নাহিদুজ্জামান (৩১) ও অফিস মোহরার দুর্জয় কান্তি পালকে গ্রেপ্তার করে (৩৮) দুদক। এসময় অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া কৌশলে পালিয়ে যায়। নাহিদুজ্জামান নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার উত্তর নাড়িবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। দুর্জয় কান্তি পালের বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল এলাকায়।

দুদকের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ৬ লাখ ৪২ হাজার ১০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে সাব রেজিস্ট্রার নাহিদুজ্জামানের ব্যবহৃত স্টিলের লকার থেকে ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৫০ টাকা, অফিস মোহরার দুর্জয় কান্তি পালের ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও শ্যামল বড়ুয়ার ড্রয়ার থেকে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা জব্দ করা হয়। এসব টাকা বৃহস্পতিবার জমি রেজিস্ট্রির সময় অবৈধ লেনদেন হয়েছে। এসব টাকার কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তাঁরা। অভিযানের সময় কৌশলে পালিয়ে গেছেন অফিস সহকারী শ্যামল বড়ুয়া। অন্য দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দুদক কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ঘুষ লেনদেনের হাতের লেখা ৪১টি স্লিপ জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার তাঁদের আদালতে তোলা হবে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, এক ভুক্তভোগী দুদকের হটলাইনে (১০৬) চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে অভিযোগ করেন। এরপর দুদকের একটি গোয়েন্দা দল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছদ্মবেশে সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অবস্থান করে। পরে সন্ধায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান শুরু করে।