কমরেড মোর্শেদ আলী আর নেই
বাম রাজনীতিবিদ, সিপিবি কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ও ডাকসুর সাবেক জিএস বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মোর্শেদ আলী (৭৬ ) মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বাম রাজনীতিবিদ, সিপিবি কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ও ডাকসুর সাবেক জিএস বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড মোর্শেদ আলী (৭৬ ) মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার সকাল সাড়ে সাতটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে তিনি কিছুদিন আগে প্রথমে বারডেম ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন।
সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা শামসুজ্জামান সেলিম মুঠোফোন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মোর্শেদ আলীর মরদেহ বুধবার বেলা ১১টার কিছু পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। এখান থেকে পল্টনে সিপিবির কার্যালয়ে আনার পর কমরেডের প্রতি দলীয় নেতাকর্মীদের সর্বশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সেখানে বেলা সাড়ে ১১ টায় প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার মরদেহ শেওড়াপাড়ার বাসভবনে নেওয়া হয়। এরপর মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদীতে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রবীণ নেতা মোর্শেদ আলীর জন্ম পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত মোর্শেদ আলী ঢাকা মহানগর কমিউনিস্ট পার্টির মুখ্য নেতা হিসেবে পার্টি ও গণসংগঠন বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী সংসদ (ডাকসু)-এর ১৯৬৬-৬৭ মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (টিইউসি)-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন।
কমরেড মোর্শেদ আলী কৈশোরেই ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কমিউনিস্ট রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ৬৬ সালের ৬ দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন ও তা সংগঠিত করেছেন। শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা অগ্রগণ্য।
প্রকৌশল নিউজ/এমএস