করোনা ও দারিদ্র্যতা দূরীকরণে বিশ্বব্যাংকের ৩০ কোটি ডলার ঋণ

দেশের দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীর দক্ষতা ও জীবন মান উন্নয়ন এবং করোনা ঝুঁকি মোকাবিলায় ২০টি জেলায় ৩০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

করোনা ও দারিদ্র্যতা দূরীকরণে বিশ্বব্যাংকের ৩০ কোটি ডলার ঋণ

দেশের দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীর দক্ষতা ও জীবন মান উন্নয়ন এবং করোনা ঝুঁকি মোকাবিলায় ২০টি জেলায় ৩০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেমবন এবং বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন চুক্তিতে সই করেন। বিশ্বব্যাংক বলেছে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নে জীবনমান উন্নয়ন ও কর্মক্ষম ব্যক্তি তৈরির লক্ষ্যে রিলায়েন্স, ইন্টারপ্রিনিউরশিপ অ্যান্ড লাইভলিহুড ইম্প্রুভমেন্ট (আরইএলআই) প্রকল্পের আওতায় এই ঋণে ৩ হাজার ২০০ গ্রামের সাড়ে ৭ লাখ লোক উপকৃত হবে।

৩ বছর মেয়াদী এ ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ৫ বছর। এ ঋণ ব্যবহার করে ৪ লাখ ৯০ হাজার মানুষকে জলবায়ু ঝুঁকি, অভিযোজন এবং স্থিতিস্থাপকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। পাশাপাশি ৫ হাজার ১২০টি জলবায়ু সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণ হবে।

এই ঋণ চুক্তির বিষয়ে মার্সি টেমবন বলেন, করোনা মহামারিতে গ্রামীণ অঞ্চলের দরিদ্রদের, বিশেষ করে নারীদের আয় ও অর্থনৈতিক সুযোগ সীমাবদ্ধ হয়েছে। এই প্রকল্প গ্রামীণ অর্থনীতিতে সহায়তা করবে এবং এর ৯০ শতাংশ সুবিধাভোগী হবেন নারীরা। প্রকল্পটি স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি সচেতনতায় সহায়তা করবে।

বেকার যুবক এবং প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের কর্মসংস্থান বাড়ানোর জন্য এবং দক্ষতা বিকাশের প্রশিক্ষণও সরবরাহ করতে এ প্রকল্প কাজ করবে।

সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, প্রকল্পটি ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং বাংলাদেশ ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি গ্রামীণ নারীদের দারিদ্র দূরীকরণ ও মহামারির ধাক্কা সামাল দিতে সাহায্য করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের আইডিএ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশে ১৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হয়েছে।