কারামুক্ত সাংবাদিক কাজল
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলা অত:পর নিখোজ। তারপর বেনাপোল সীমান্ত থেকে উদ্ধার, আটক, গ্রেফতার। সবমিলিয়ে প্রায় ১০ মাস কারাগার জীবন শেষ করে অবশেষে পরিবারের কাছে ফিরতে পারলেন ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। শুক্রবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলা অত:পর নিখোজ। তারপর বেনাপোল সীমান্ত থেকে উদ্ধার, আটক, গ্রেফতার। সবমিলিয়ে প্রায় ১০ মাস কারাগার জীবন শেষ করে অবশেষে পরিবারের কাছে ফিরতে পারলেন ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। শুক্রবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাংবাদিক কাজলের ছেলে মনোরম পলক।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে ১১টা ৪০ মিনিটে তারা বাড়ি পৌঁছে। তিনি জানিয়েছেন শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছেন তার বাবা। এমনকি তিনি মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত বলেও জানান কাজলের ছেলে।
গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুটি আলাদা মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে জামিন দেন। সে সময় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া দ্য বলেছেন, এখন সাংবাদিক কাজলের মুক্তিতে কোনো বাধা নেই। এর আগে একটি মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন।
মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর গত ৯ মার্চ রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় কাজল, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলায় বানোয়াট তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। পরদিন কাজল নিখোঁজ হন। ১০ ও ১১ মার্চ হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় আরও দুটি মামলা দায়ের হয় তার নামে।
নিখোজের প্রায় ৮ মাস পর যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে গত ৩ নভেম্বর নিখোঁজ সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে গ্রেপ্তার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তার বিরুদ্ধে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগ এনে বিজিবি মামলা করে।
রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় “পক্ষকাল“-এর অফিস থেকে গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় বের হন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান না পেয়ে ১১ মার্চ চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন তার স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী নয়ন।