গণ টিকাদান ক্যাম্পেইননে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্ট
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়নে শুরু থেকেই বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবকরা নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও দেশব্যাপী গণ টিকাদান কর্মসূচিতে সরকারের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ শুরু করেছে সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবকরা।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকারের চলমান কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়নে শুরু থেকেই বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবকরা নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও দেশব্যাপী গণ টিকাদান কর্মসূচিতে সরকারের সাথে সম্মিলিতভাবে কাজ শুরু করেছে সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবকরা।
শনিবার (০৭ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপি কোভিড-১৯ এর গণ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন, জেলা, উপজেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে। ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া সরকারের টিকাদান কর্মসূচিতে প্রথম থেকেই সরকারকে সহযোগিতা করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা।
গণ টিকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে নতুন করে আরও ১০০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে কাজে লাগাচ্ছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। টিকা গ্রহণকারীদের সাহায্য ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে শুধু ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ১২৯ টি ওয়ার্ডে ৩৮৭ জন স্বেচ্ছাসেবককে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।
দেশব্যাপী এই বৃহৎ কার্যক্রমকে সফল করতে সোসাইটির পক্ষ থেকে সকল ইউনিটগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমণ এর বিস্তার রোধে সরকারের নানা কর্মসূচির পাশাপাশি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি তাদের সমন্বিত কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকরা ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) এর সহযোগিতায় সরকার প্রদত্ত স্বেচ্ছাসেবক গাইডলাইন অনুযায়ী সারাদেশে কাজ করছে। এছড়াও সকল জেলার সিভিল সার্জন ও সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে টিকাদান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্ত করতে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অফিসিয়াল চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সক্রিয় ভূমিকা ও সহযোগিতার জন্য রেড ক্রিসেন্ট কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে।
দেশের ৬৪ টি জেলায় সোসাইটির বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা ও ১৮ টি জেলায় ফ্রি এ্যাম্বুলেন্স সেবা সারাদেশে ব্যপক প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের পরিচালক ইমাম জাফর সিকদার বলেন, ‘রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সরকারের কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে রেড ক্রিসেন্টের ১৫ হাজার দক্ষ স্বেচ্ছাসেবক পর্যায়ক্রমে কাজ করছে। নতুন করে শুরু হওয়া গণ টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে আরও ২৮০০০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্কত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয়তা ও সরকারের চাহিদার প্রেক্ষিতে আগামীতে এই সংখ্যা আরোও বাড়তে পারে।’
সোসাইটির মহাসচিব মো: ফিরোজ সালাহ্ উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সরকারের কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবধরণের সহযোগিতা প্রদান করে আসছে এবং সহযোগিতা প্রদানে সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ শেষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে নিয়োজিত আছে। তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয় ও অন্যান্য সরকারি দপ্তরের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।