চাকরির বয়সসীমা ৩২ না হলে অনশন

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ বছর করার দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি,  না মানলে অহিংস আন্দোলন বা অনশনের মতো কর্মসূচিতে যাবেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা।

চাকরির বয়সসীমা ৩২ না হলে অনশন

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ বছর করার দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি না মানলে অহিংস আন্দোলন বা অনশনের মতো কর্মসূচিতে যাবেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্মের পক্ষে তানভির হোসেন, সাজিদ সেতু, আনোয়ার সাকিন, অক্ষয় রায়, সুমনা রহমান, মারজিয়া সুলতানা, আব্দুল্লাহ মামুন, সাদেকুল ইসলাম, ডালিয়া আহমেদ, মানিক রিপন, আব্দুল্লাহ নোমান, শারমিন পরি, আয়েশা আমির, আকাইদ আকন্দসহ অনেকে।

এ বক্তারা বলেন, আগামী ৭ থেকে ১০ দিন অপেক্ষা করব। এরপর যদি এ বিষয়ে কোনো সাড়া না পাওয়া যায়, তাহলে আন্দোলনে না যাওয়ার বিকল্প নেই।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, আমাদের দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দেখা করার আকুতি জানিয়েছি। এখানেও দুইদিন সংবাদ সম্মেলন করেছি। মানববন্ধন করেছি, সংসদ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সংসদ প্রাঙ্গণে ৩২ এর দাবি জানিয়ে মৌন সমাবেশ করেছি। তারপরও সংশ্লিষ্ট কর্তা-ব্যক্তিদের কাছে থেকে কোনো প্রতি উত্তর পাইনি।

তারা বলেন, উনাদের উপলব্ধি করা উচিত যে চাকরিতে আবেদনের বয়স স্থায়ীভাবে ২ বছর বাড়িয়ে ৩২ বছর করলে সবাই তাদের হারিয়ে যাওয়া সময় ফিরে পাবে।

গতকালের ঘটনার বিষয়ে তারা জানান, বৃষ্টিতে ভিজে লাঠিচার্জের স্বীকার হয়েও আমরা অহিংস উপায়ে রাজপথে ছিলাম। সেখানে তো সরকার বিরোধী আচরণ ছিলো না। সংবিধান সভা-সমাবেশ বা মিছিলের নাগরিক অধিকার দিয়েছে। উত্তাল ছাত্রজনতা শাহবাগের মূল সড়কে অবস্থান নিতে চাইলেও থানা কর্মকর্তাদের অনুরোধে ১০ মিনিটের বেশি সেখানে থাকিনি। বিশেষত জন দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে।

বক্তারা জানান, গতকাল কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দুই জনকে আটক করেছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

তারা বলেন, ছেলেমেয়েরা ২৬ বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ করে করোনার শুরুর সময় থেকে আশায় বসে আছে চাকরির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবে। তারাও এই দেড় বছর হারাতে চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৯১ সালে শেষবার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করা হয়। তখন মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। এই ৩০ বছরে গড় আয়ু ১৬ বছর বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ হলেও বৃদ্ধি পায়নি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা।

করোনাকালে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিমাণ ৮৭ থেকে কমে ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে। বেকারত্বের হার ২০ থেকে ৩৫ শতাংশে উঠে এসেছে। করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত দেড় লাখ চাকরিপ্রত্যাশী। এই হার আরও বাড়বে বলেও তারা জানান।

বক্তারা জানান, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ বা আবেদনের বয়সসীমা ৩০ হলেও বিসিএস স্বাস্থ্য ও জুডিশিয়ারির ক্ষেত্রে ৩২ বছর। বিভিন্ন কোটার ক্ষেত্রেও এই বয়সসীমা ৩২ বছর দেওয়া হয়েছে।

প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস