ছাত্র-যুব অধিকারের ৯ জনের জামিন দেয়নি জর্জকোর্ট
রাজধানীর তোপখানায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরকালে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে শাহবাগ থানায় হওয়া মামলায় সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ৯ নেতাকর্মীর জামিন মেলেনি জজকোর্টেও।
রাজধানীর তোপখানায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরকালে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে শাহবাগ থানায় হওয়া মামলায় সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ৯ নেতাকর্মীর জামিন মেলেনি জজকোর্টেও।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের ভার্চুয়াল আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
৯ জন হলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক সজল ও ঢাকা কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল করিম সোহাগ, আসাদুজ্জামান, মোমিন আকন্দ, আরিফুল ইসলাম, শিপন ও রোকেয়া জাবেদ মায়া।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম ভার্চুয়ালি শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) ফরিদ আহমেদ জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে প্রথম চারজনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তারা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। বাকিদের সন্ধিগ্ধ হিসেবে গত ১ এপ্রিল গাজীপুরের বাসন থানাধীন এালাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর সিএমএম আদালতে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়।
সবশেষ গত ২৭ মার্চ প্রেসক্লাবের সামনে মোদির ঢাকা সফরবিরোধী আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনায় শাহবাগ থানা এই মামলা হয়। যে মামলায় পুলিশের ওপর হামলা, মারধর, হত্যাচেষ্টার পাশাপাশি বিস্ফোরক আইনের অভিযোগও আনা হয়।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমানসহ মোট ১১ জনকে আসামি করা হয় মামলায়।
প্রকৌশল নিউজ/এমআরএস