ডাক্তার-পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের বাগ-বিতণ্ডায় আদেশ দেননি হাইকোর্ট

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মুভমেন্ট পাস ও পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া নিয়ে এক চিকিৎসকের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের বিতণ্ডার ব্যাপারে কোনো আদেশ দেননি হাইকোর্ট।

ডাক্তার-পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটের বাগ-বিতণ্ডায় আদেশ দেননি হাইকোর্ট

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মুভমেন্ট পাস ও পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া নিয়ে এক চিকিৎসকের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের বিতণ্ডার ব্যাপারে কোনো আদেশ দেননি হাইকোর্ট।

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বাগবিতণ্ডার ঘটনাটি নিয়ে প্রকাশিত সংবাদপত্রের প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে সুয়ো মুটো আদেশের জন্য আবেদন করেছিলেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চে তিনি এ আবেদন করেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেন, ওই ঘটনায় আইনজীবী সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নন। তাই তিনি এ ব্যাপারে আদেশ চাইতে পারেন না।

অ্যাডভোকেট ইউনুস আলীকে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ওই ঘটনায় সংক্ষুব্ধ কেউ আমাদের কাছে আদেশ চাইলে আমরা ব্যাপারটি দেখব। এ ব্যাপারে ইউনুস আলী জানান, সরকারকে ওই ঘটনা তদন্ত করে জড়িত ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশের জন্য আমি হাইকোর্টে আবেদন করব।

গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাঈদা শওকত জেনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকে পড়েন। সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসন অফিসের সহকারী কমিশনার শেখ মো. মামুনুর রশিদ আদালত পরিচালনা করছিলেন। নিউ মার্কেট থানার একজন পরিদর্শকের নেতৃত্বে একাধিক পুলিশ সদস্য সেখানে দায়িত্বরত ছিলেন।

চেক পোস্টে পুলিশ সদস্যরা চিকিৎসকের কাছে আইডি কার্ড দেখতে চান। আইডি কার্ড দেখাতে না পারলে মুভমেন্ট পাস দেখতে চান ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ। এ সময় ওই চিকিৎসক কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসা করেন, ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস লাগে? পুলিশের কাছে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবি করেন চিকিৎসক। এ সময় পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটও নিজেদের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে জানান। বিষয়টি নিয়ে অনেক্ষণ বাগ-বিতণ্ডা হয় তাদের মধ্যে। এ ঘটনার একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

প্রকৌশল নিউজ/এমএস