ধর্ষকদের খোজা করার বিল পাশ পাকিস্তানে

পাকিস্তানজুড়ে নারী ও শিশু ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ায় গণদাবির মুখে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হলে যৌন অপরাধীদের রাসায়নিক দিয়ে ‘খোজা’ করে দেওয়ার একটি নতুন বিল পাস হয়েছে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে। যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেবার প্রক্রিয়াকেই বলে খোজাকরণ। যাদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়া হয় তাদের বলে ‘খোজা’।

ধর্ষকদের খোজা করার বিল পাশ পাকিস্তানে

পাকিস্তানজুড়ে নারী ও শিশু ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ায় গণদাবির মুখে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হলে যৌন অপরাধীদের রাসায়নিক দিয়ে ‘খোজা’ করে দেওয়ার একটি নতুন বিল পাস হয়েছে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে। যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেবার প্রক্রিয়াকেই বলে খোজাকরণ। যাদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়া হয় তাদের বলে ‘খোজা’।

পাকিস্তানের দৈনিক ডন জানিয়েছে, পাকিস্তানজুড়ে নারী ও শিশুদের ধর্ষণের হার বেড়ে চলেছে। ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হলে অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি গণবিক্ষোভ হচ্ছে। গণদাবির মুখে দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি নতুন ধর্ষণ বিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন করার পর ওই অধ্যাদেশটিই প্রায় এক বছর পরে বিল আকারে পাশ করল পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। নতুন এই বিলের ফলে ধর্ষকদের ‘খোজা’ করার সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে আর আইনি বাধা থাকল না।

বুধবার পাকিস্তানের সংসদের যৌথ অধিবেশনে অন্য ৩৩টি বিলের সঙ্গে ফৌজদারি আইন (সংশোধনী) বিল ২০২১ এই বিলটি পাশ হয়।

রাসায়নিক প্রয়োগ করে খোজা করে দেওয়া একটি পদ্ধতি যেটি করা হলে যৌন সক্ষমতা হারিয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়া, পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি প্রদেশে এই ধরনের শাস্তির আইনি বৈধতা রয়েছে।

এদিকে পাকিস্তানে নতুন এই বিল নিয়ে কট্টর সমালোচনা করেছে দেশটির সংসদ সদস্য মুশতাক আহমেদ। তার মতে, খোজাকরণ ইসলামবিরোধী এবং শরিয়াহ আইনের পরিপন্থী। ধর্ষকদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার আইন করার দাবি জানিয়েছেন পাকিস্তান জামায়াত-ই-ইসলামীর এই সাংসদ।

প্রকৌশলনিউজ/সু