‘নিরাপত্তার প্রয়োজনেই তালা ভেঙে হলে ঢুকছেন তারা ’ দাবি জাবি শিক্ষার্থীদের
গ্রামবাসীদের মসজিদে ঘোষণা দিয়ে হামলার জেরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা ভেঙে আবাসিক হলে প্রবেশ করছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, নিজেদের নিরাপত্তার প্রয়োজনেই তারা তালা ভেঙ্গে হলে প্রবেশ করছেন।
গ্রামবাসীদের মসজিদে ঘোষণা দিয়ে হামলার জেরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা ভেঙে আবাসিক হলে প্রবেশ করছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, নিজেদের নিরাপত্তার প্রয়োজনেই তারা তালা ভেঙ্গে হলে প্রবেশ করছেন।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর শিক্ষার্থীরা প্রথমে ফজিলাতুন্নেসা হলের তালা ভেঙে ফেলেন। এর পর একে একে সুফিয়া কামাল হল ও প্রীতিলতা হলসহ মেয়েদের অন্যান্য হলগুলোর তালা ভেঙে সামনে এগোতে থাকেন তারা। পরে ছেলেদের দুটি হলের তালাও ভাঙা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, তারা আগে মেয়েদের হলের তালা ভেঙেছেন, কারণ মেয়েদের নিরাপত্তা জরুরি। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে তালা ভাঙা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের এ ধরনের অনৈতিক কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার আহ্বান জানাই।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের হল খোলার দাবি মেনে নেয়নি। আমরা এভাবে অনিরাপদভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থাকতে পারি না। তাই আমরা বাধ্য হয়েই তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করছি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় মসজিদের মাইকে গ্রামে ডাকাত পড়ার গুজব ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ক্যাম্পাসসংলগ্ন গ্রাম গেরুয়ার একদল স্থানীয় লোক। এতে আহত হন অন্তত ৩০ জন, তাদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী। রাত ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে এ হামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে।
হামলার পর গ্রামটি ছাড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। অন্য এলাকায় পরিচিতদের বাসায় রাত যাপন করতে হয় তাদের।
প্রকৌশল নিউজ/এমআর