নীলফামারীতে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা

নীলফামারীতে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা

নীলফামারীতে  হঠাৎ বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা, হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবহন। দুইদিন থেকে সূর্য দেখা পাওয়া যায়নি বলে জানায় এলাকাবাসীর। ঘন কুয়াশায় হাত-পা গুটিয়ে বসে আছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। 

সকালে নীলফামারী  শহর ঘুরে দেখা গেছে, নীলফামারী থেকে সৈয়দপুর , ডোমার থেকে নীলফামারী রুটে যানবহনগুলো হেটলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে। ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে গাড়িগুলো যাতাযাত করছে। ঘন কুয়াশায় ধীর গতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা। গতকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখতে পায়নি নীলফামারীবাসী।কাজের সন্ধানে কুয়াশা অন্ধকারেও বসে আছে দিনমজুরেরা। দেখা গেছে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতিটি যানবহন লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করেছে।

ঢাকা থেকে আসা নৈশ কোচের চালক খলিল মিয়ার সাথে কথা হয়, তিনি বলেন, এতো কুয়াশা, রাস্তায় গাড়ি চলা বড় কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। নীলফামারী থেকে রংপুরে গাড়ি নিয়ে আসতে সময় লাগে মাত্র ৪৫ মিনিট, আর সেখানে এখন সময় লাগছে দুই ঘন্টা। কুয়াশায় তো গাড়ি জোরে চালানো যায় না এবং সড়ক দূর্ঘটনার আশঙ্কাও তো আছে।

কথা হয় ভ্যান চালক সলেমানের সাথে, তিনি বলেন, ভোরে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কুয়াশায় রাস্তায় কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা। বসে আছি অনেকক্ষণ কিন্তু কোন যাত্রী পাচ্ছি না যদি ভাড়া না মারতে পারি তাহলে সংসার চালাবো কি করে।

শীতের  কাপড় পড়ে কাঁধে কোদাল ও ডালির  ঝুলিয়ে হেটে চলছে ৫০ বছরের দুলাল , জানতে চাইলে বলেন, কাজের খোঁজে বের হয়েছি । কাজ না করলে সংসার চলবে কি করে। ছেলেরা তো বিয়াশাদী করে যার যার মতো চলছে। মানুষের বাড়িতে কামলা দিয়ে যা পাই তাই দিয়ে চলি । শীত আর কুয়াশাকে ভয় করলে কাজ পাওয়া যাবে না।উত্তরের বেশীরভাগ জেলাগুলোতে খেটে খাওয়া মানুষ শীত বস্ত্রের অভাবে চরম বিপাকে পড়ছে।