প্রাইভেট হাসপাতালেও মিলবে করোনা ভ্যাক্সিন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন,"কোভিড মোকাবেলায় সরকারের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর থেকে শুরু করে টীকাদান প্রক্রিয়ার জন্য যেসকল প্রক্রিয়া আছে তার জন্য স্বাস্থ্যখাত কাজ করেছে। এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থাসমুহের অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আগামী জানুয়ারির শেষ দিকে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই দেশে ভ্যাক্সিন দেয়ার কাজ শুরু হবে। আর, এই ভ্যাক্সিন প্রদানে সরকারের পাশাপাশি দেশের ভালো মানের বেসরকারি খাতকেও যুক্ত করা হতে পারে।"
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন,"কোভিড মোকাবেলায় সরকারের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর থেকে শুরু করে টীকাদান প্রক্রিয়ার জন্য যেসকল প্রক্রিয়া আছে তার জন্য স্বাস্থ্যখাত কাজ করেছে। এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য সংস্থাসমুহের অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আগামী জানুয়ারির শেষ দিকে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকেই দেশে ভ্যাক্সিন দেয়ার কাজ শুরু হবে। আর, এই ভ্যাক্সিন প্রদানে সরকারের পাশাপাশি দেশের ভালো মানের বেসরকারি খাতকেও যুক্ত করা হতে পারে।"
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত জুম অনলাইন প্রোগ্রাম "করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও কভিড-১৯ এর নতুন স্ট্রেইন (পরিবর্তিত রূপ) ছড়ানো নিয়ন্ত্রণ কল্পে ভার্চুয়াল সভায়" প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং আনোয়ার খান মেডিকেলের প্রতিষ্ঠাতা ও সংসদ সদস্য আনোয়ার খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলমসহ দেশের ৭০ টি প্রাইভেট মেডিকেলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিমন্ডলি।
সভায় করোনা মোকাবেলায় দেশের প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের আওতাধীন চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রগুলি গত ৫ জুন থেকে যেভাবে মানুষকে সেবা দিয়ে গেছেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশ প্রাউভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কোভিড মোকাবেলায় তাঁর সাহসী উদ্যোগগুলির জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশন যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তার জন্য ধন্যবাদ জানান ত্রাণমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
করোনার পরিবর্তিত নতুন রূপ দেশে চলে এলে তার জন্য প্রাইভেট মেডিকেল হাসপাতালগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একই সাথে প্রাইভেট মেডিকেল হাসপাতালগুলিকে সরকারি হাসপাতালের মতো চিকিৎসা বিলের তালিকা প্রকাশ করে রাখবারও অনুরোধ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই করোনার সময়েও সামনেই এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুরু করার ঘোষণা দেন। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, "করোনাতে অনেক কিছু থেমে গেলেও দেশের স্বাস্থ্যখাত থামেনি কখনো। আগামীতেও থেমে থাকবে না। দেশের হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন থেকে যেন একটি বছর নষ্ট হয়ে না যায় সেজন্য সামনেই এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার কাজ শুরু করা হবে।"