বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি’র দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রাজধানীর গুলশানে একটি হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। মঙ্গলবার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বলে জানা যায়। সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বড় বোন।
রাজধানীর গুলশানে একটি হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। মঙ্গলবার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় বলে জানা যায়। সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বড় বোন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) জাফর হোসেন বলেন, “সায়েম সোবহানের দেশত্যাগে পুলিশের করা আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।”
কারও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আরও বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিবাসন কর্তৃপক্ষকেও সায়েম সোবহান যাতে দেশ ছাড়তে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। সোমবার (২৬ এপ্রিল) রাতে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করে মামলা করেন মোসারাত জাহানের (মুনিয়া) বড় বোন নুসরাত জাহান। এতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মুনিয়া রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার বাবার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, শফিকুর রহমান পরিবার নিয়ে কুমিল্লায় থাকেন। তার মেয়ে মোসারাত জাহান গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাটে একাই ভাড়া থাকতেন। শীর্ষ এক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের যাতায়াত ছিল ওই ফ্ল্যাটে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, রোববার মোসারাত জাহান ফোনে বড় বোনকে জানিয়েছিলেন তিনি ঝামেলায় পড়েছেন। বিষয়টি শোনার পর তার বড় বোন সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। তিনি ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান। তালা খুলে ঘরে ঢুকে বোনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।