বাজেটকে অবাস্তব বললেন জাপা চেয়ারম্যান

জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ২০২১-২০২২ সালের যে বাজেট পেশ করা হয়েছে তা কল্পনাপ্রসূত, মনগড়া ও অবাস্তব। আন্দাজে করা এই বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। বাজেটে বিশাল ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি পূরণে যে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত নয়।

বাজেটকে অবাস্তব বললেন জাপা চেয়ারম্যান

জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, ২০২১-২০২২ সালের যে বাজেট পেশ করা হয়েছে তা কল্পনাপ্রসূত, মনগড়া ও অবাস্তব। আন্দাজে করা এই বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। বাজেটে বিশাল ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি পূরণে যে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে তা বাস্তবসম্মত নয়। এই বাজেট ব্যপকভাবে সংশোধন বা রদবদল করতে হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যখাতে নামমাত্র বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে, সামাজিক বেষ্টনীখাতে যা দেয়া হয়েছে তা বাজেটের তুলনায় অত্যান্ত কম। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাখাতেও অনেক কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বাজেট অধিবেশন থেকে বের হয়ে জাতীয় সংসদের টানেলে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব (ঢাকা বিভাগ) লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, পনির উদ্দিন আহমেদ এমপি ও ভাইস চেয়ারম্যান পীর ফজলুর রহমান মিজবাহ এমপিসহ অনেকে। 

এ সময় গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ধারণার বশবর্তী হয়ে অর্থমন্ত্রী বাজেট তৈরি করেছেন। তিনি বলেন, এই বাজেট এতটাই পরিবর্তন করতে হবে যে তাতে প্রণীত বাজেটের প্রকৃত রূপ থাকবে না। বাজেটে খরচ বাড়িয়েছেন, বাড়ানো দরকারও আছে। কিন্তু অর্থ আহরণের বিষয়ে তারা হোঁচট খেয়েছেন। গত বাজেটের লক্ষ্য অনুযায়ী ৬০ ভাগও রাজস্ব আদায় করতে পারেনি ১০ মাসে। সামনের দুই মাসে কতটা আদায় করতে পারবে তাও জানা নেই। যেটা প্রাক্কলন করা হয়েছে, তাতে যথেষ্ট পরিমাণে ঘাটতি রয়েছে। জিডিপির ৬ দশমিক ২ ভাগ ঘাটতির বাজেট এর আগে আর হয়নি। ঘাটতির এই বাজেটে যত সুন্দরভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ও বলা হয়েছে তা ডিটেইলে দেখা গেছে, অনেক কিছুই ফাঁক আছে।

তিনি বলেন, যারা করোনাকালে কর্মহীন হয়েছে ও দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা তাদের জন্য আর্থিক সহায়তার সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা নেই নতুন বাজেটে। স্বাস্থ্যখাতের জন্য সাধারণ মানুষের বিপুল আকাঙ্ক্ষা ছিল, এবার স্বাস্থ্যখাতে বড় ধরনের একটা বরাদ্দ হবে। সাধারণ মানুষের এমন আশা ছিল। কিন্তু বাজেটে অত্যান্ত সামান্য বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। এটা সাধারণভাবে বলা যায়, রুটিন বৃদ্ধি। কোনো ক্রাইসিসের জন্য এই বৃদ্ধি সামান্য ও অপ্রতুল।

এ সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, বাজেটের ঘাটতি পূরণে বিদেশী ঋণ, স্বল্পসূদে ঋণ ও বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ প্রাপ্তির যে কথা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। আগামী দিনের অর্থনৈতিক যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তাতে এটা আদৌ অর্জন করা সম্ভব হবে কি না তা বলা যাচ্ছে না। তাই রাজস্ব প্রাপ্তিতে যেমন বিশাল সমস্যা হতে পারে, তেমনিভাবে বাজেট অনুযায়ী অর্থায়নেও সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া যে সকল বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে তা মুখে বলেছেন কিন্তু কাগজে মোটেই নেই।