বিজেপির ‘বন্ধু’ হওয়ায় বাইডেন প্রশাসন থেকে বাদ!
আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রশাসনে অন্তত ২০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। তবে সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ছে বেশ কয়েক জনের নাম, যারা ভোটের আগে বাইডেন শিবিরের প্রচারে যথেষ্ঠ ভুমিকা রেখেছিলেন। হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, এই ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে আরএসএস বা বিজেপির ঘনিষ্ঠতা পেয়েছে বাইডেন প্রশাসন, তাই বাদ দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট।
আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রশাসনে অন্তত ২০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। তবে সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ছে বেশ কয়েক জনের নাম, যারা ভোটের আগে বাইডেন শিবিরের প্রচারে যথেষ্ঠ ভুমিকা রেখেছিলেন। হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, এই ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে আরএসএস বা বিজেপির ঘনিষ্ঠতা পেয়েছে বাইডেন প্রশাসন, তাই বাদ দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট।
যে দুজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাইডেনের তালিকা থেকে বাদ গেছেন, তারা হচ্ছেন সোনাল শাহ এবং অমিত জানি। তারা বাইডেন শিবিরে খুবই পরিচিত মুখ বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আগের ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বারাক ওমাবার আমলের দুই প্রশাসনিক কর্তাকেও ‘প্রশাসনে’ নেননি বাইডেন। এই দুজনের সঙ্গেও বিজেপির প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
শপথ নিয়েই প্রথম দিনে ট্রাম্প আমলের অনেক নীতি পাল্টে ফেলেছেন বাইডেন। যার মধ্যে ছিল অভিবাসন সংক্রান্ত বেশকিছু সিদ্ধান্ত। বুধবার অভিবাসন সংক্রান্ত নতুন একটি বিল কংগ্রেসে পাঠিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। ‘ইউএস সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট অব ২০২১’ নামের ওই বিলে ট্রাম্পের নেওয়া বেশকিছু সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে চাইছে বাইডেন।
হোয়াইট হাউস সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আভিবাসীদের জন্য কড়া আইন এনে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে খুবই বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন। কারণ আমেরিকার এসব সংস্থায় কাজ করেন মূলত দক্ষ ভারতীয় ও চীনা অভিবাসীরা। তাই নতুন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে খুশি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলো। বাইডেনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন আমেরিকার বড় মাপের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলোর কর্ণধাররা। যাদের মধ্যে অন্যতম গুগলের সিইও, ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুন্দর পিচাই এবং অ্যাপলের সিইও টিম কুক।
শুধু অভিবাসী নীতিই নয়, পশ্চিম এশিয়া সংক্রান্ত নীতি নিয়েও প্রথম থেকেই ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। রোববার আমেরিকান প্রশাসনের পক্ষে জানানো হয়, শিগগিরই তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি পর্যালোচনা করবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবান শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করার পরে এলাকায় হিংসা কমেছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
ট্রাম্পের আমলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমেরিকার টানাপোড়েন শুরু হয়। দায়িত্ব নিয়েই তাই বিদেশনীতি ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। সোমবার বাইডেন ফোন করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে। প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রনেতা দীর্ঘ সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তাদের আলোচনায় যেমন ছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক, তেমনই পরিবেশ, অতিমারি ইত্যাদি বিষয় নিয়েও কথা হয় তাদের। ট্রুডোর সঙ্গে কথার পরে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ফোন করেন আর এক প্রতিবেশী দেশ, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওব্রাডোরকেও।